শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত মিশন নিয়ে আন্তর্জাতিক এনজিও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে বিএনপি অপপ্রচারে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছে করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে দেশে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত এই যে পিস কিপিং মিশন। এই মিশনকেও তারা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রচার চালাচ্ছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালকে কাজে লাগাচ্ছে।’
ধানমণ্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার আওয়ামী লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সভার পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শান্তিপূর্ণ ভোটে হারার ভয়ে বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ আর অপপ্রচারে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন খুব চ্যালেঞ্জিং হবে। বিএনপি এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। নিজেরা ব্যর্থ হয়ে তারা এখন বিদেশি শক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। নানামুখী অপপ্রচার চলছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পরিষ্কারভাবে যেটা দেখতে পাচ্ছি যে, তারা (বিএনপি) আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। সর্বশেষ আমরা যে খবর পেয়েছি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালে অপপ্রচারের সঙ্গে তাদের অপপ্রচার একাকার হয়ে গেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন ব্যবস্থা অনেক কর্তৃত্বপূর্ণ ও স্বাধীন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজকে এই বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে যারা রয়েছে তারা জানে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলে তাদের হেরে যাওয়ার ভয় আছে।
তিনি বলেন, বিএনপি বোঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে তারা জয়লাভ করতে পারবে না। কাজেই এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ, বাধাগ্রস্ত করাই তাদের এখন কাজ।
‘এজন্য তারা প্রথমে বিদেশিদের কাছে নালিশে গেছে। এখন লবিস্ট নিয়োগ করেছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশে। সর্বশেষ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এর অপপ্রচারের সাথে তাদের অপপ্রচার একাকার হয়ে গেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, লড়াই করতে হবে অশান্তির বিরুদ্ধে, যাতে কেউ নির্বাচনে বাধা দিতে না পারে। অতীতের সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি যেন নির্বাচনী পরিবেশকে বিঘ্নিত করতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমারা মাঠে থাকব। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে নিশ্চয়তা দিয়েছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। বিএনপির ব্যাপারটা হলো তারা না জিতলে এই নির্বাচন কোনদিন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।
ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত মাসব্যাপী সকল কর্মসূচি উদযাপন করা হবে সাদামাটা, স্বতঃস্ফূর্ত ও বহুমাত্রিকভাবে।
জেএন/পিআর