সিরিজ বাঁচাতে মিরপুর টেস্টে জয় ছাড়া কোন পথ নেই বাংলাদেশের। সিলেট টেস্টে হেরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুরুটা ভালো না হলেও দিনের শেষটা হয়েছে মনের মত। মুমিনুল-মুশফিকের ২৬৬ রানের রেকর্ড জুটিতে প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান করে চালকের আসনে আছে বাংলাদেশ।
দীর্ঘদিন পর সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া মুমিনুল দিনের শেষ বেলায় আউট না হলে দিনটা পুরোপুরি বাংলাদেশের নামেই লেখা যেত। তবে আরেক সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক অপরাজিত আছেন ১১১ রান নিয়ে। ৩১ টেস্টের ক্যারিয়ারে মুমিনুলের এই সপ্তম সেঞ্চুরিতে ছিল ১৯টি চারের মার। আর মুশফিকের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে ছিল ৯টি চারের মার।
হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের ই বাংলায় ম্যাচটি শুরু হয় রোববার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায়।
যদিও সকালে টস জেতার সুযোগটা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পেসারদের তোপে শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে পড়েন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছিল স্বাগতিকরা।
সপ্তম ওভারে কাইল জারভিসের বলে উইকেটরক্ষক চাকাভাকে ক্যাচ দিয়ে ১৬ বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন ইমরুল কায়েস। নিজের পরের ওভারে জারভিস মাভুতার ক্যাচে লিটন দাশকে (৯) তুলে নেন। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ‘ডাক’ মারেন মো. মিঠুন। ডোনাল্ড ট্রিপানোর বলে ব্র্যান্ডন টেইলরকে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর জুটি বাঁধেন মুমিনুল-মুশফিক। তাদের ২৬৬ রানের জুটি ভাঙে ১৬১ রান করা মুমিনুলের বিদায়ে। শেষবেলায় নাইটওয়াচম্যান তাইজুলও (৪) আউট হয়ে যান।
৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের দিনের সেরা বোলার কাইল জারভিস। একটি করে উইকেট নেন টেন্ডাই চাটারা ও ডোনাল্ড টিরিপানো। স্পিনবান্ধব মিরপুরে উইকেট শূন্যই ছিলেন জিম্বাবুয়ের স্পিনাররা।
এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে অভিষেক হয় ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ও ফাস্ট বোলার খালেদ আহমেদের। এছাড়া দলে ফিরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩০৩/৫ (লিটন ৯, ইমরুল ০, মুমিনুল ১৬১, মিঠুন ০, মুশফিক ১১১*, তাইজুল ৪, মাহমুদউল্লাহ ০*; জার্ভিস ১৯-৫-৪৮-৩, চাটারা ১৮-১০-২৮-১, টিরিপানো ১৫-৩-৩৩-১, রাজা ১২-১-৬৩-০, উইলিয়ামস ৮-০-৩১-০, মাভুটা ১৬-০-৭৯-০, মাসাকাদজা ২-০-৭-০)