ইউএনও মামুনের অনন্য উদ্যােগ, বোয়ালখালীতে শিশুদের সাঁতার শেখাতে সুইমিংপুল

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় প্রায়ই ঘটে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা। এর অন্যতম কারণ সাঁতার না জানা। এক সময় বোয়ালখালীতে শিশুদের সাঁতার শেখার জন্য বাড়ির পুকুরই ছিলো যথেষ্ট। কালক্রমে জীবন যাত্রার যাতাকলে তা এক প্রকার আর হয়ে ওঠে না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় খাল-বিল ও পুকুর ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। ফলে দিনদিন কমে আসছে সাঁতার শেখার পরিধি।

- Advertisement -

বোয়ালখালীতে বিগত দিনে শিশুদের সাঁতার শেখানোর জন্য সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো সুযোগ সৃষ্টি করা যায়নি।

- Advertisement -google news follower

এমন প্রতিকূলতার মধ্যে শিশুদের সাঁতার শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন।

উপজেলা পরিষদে ৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ১৮ ফুট প্রস্থের সুইমিংপুল নির্মাণ করে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্যােগ নিয়েছেন তিনি।

- Advertisement -islamibank

জানা গেছে, দৃষ্টিনন্দন এ সুইমিংপুলে শিশুদের বয়স অনুপাতে তিনটি লেয়ারে পানি কমানো বাড়ানোর সুবিধা রাখা হয়েছে। সুইমিংপুলে শিশুদের নিরাপত্তায় দেওয়া হয়েছে ফেন্সিং। লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থাও রয়েছে। দক্ষ প্রশিক্ষক দ্বারা শিশুদের সাঁতার শেখানো হবে।

উপজেলা পরিষদের প্রস্তাবিত আধুনিক শিশু পার্কের পাশেই এই সুইমিংপুলটি প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে অর্থায়ন করেছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ।

সুইমিংপুল নির্মাণ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, প্রতিবছর বোয়ালখালীতে উল্লেখযোগ্য হারে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হয়। এছাড়া সাঁতার জানা জীবনের জন্য জরুরি। শরীর সুস্থ সবল রাখতে ও মেধা মননের জন্য খুবই উপকারী সাঁতার।

এই তাগিদ থেকেই শিশুদের সাঁতার শেখানোর বিষয়টি মাথায় আসে। নিরাপত্তা ও আগ্রহী করার লক্ষ্যে সুইমিংপুল নির্মাণ করেছেন বলে জানান ইউএনও মামুন। তিনি বলেন, সুইমিংপুলের উদ্বোধন ঈদের আগে করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। ঈদের পরপরই এর উদ্বোধন হবে। সুইমিংপুল রক্ষণাবেক্ষণ উপজেলা প্রশাসনের অধীনে থাকবে।

নির্মিত সুইমিংপুলের পাশে হচ্ছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক। পার্কের জন্য প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে শিশুদের বিনোদনের জন্য ও খেলাধূলার সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে। পাশাপাশি মাল্টিপারপাস কোর্ট ও বিশ্রামাগার নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে।

শিশুপার্ক লাগোয়া দিঘির চারপাশে হাঁটার জন্য ওয়ার্ক ওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মামুন বলেন, ওয়ার্ক ওয়েতে লাইটিং ও বসার ব্যবস্থা রাখা হবে। বিশেষ করে মহিলা ও বয়স্কদের সকাল-বিকেল হাঁটার কোনো সুযোগ নেই। এমনিতেই সড়কে হাঁটাহাঁটি করা তাদের জন্য বিপদজনক। তাদের জন্যই মূলত এটি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

জেএন/পূজন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM