চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনে একদিকে বইছে পবিত্র ঈদুল আজহার আমেজ অন্যদিকে উপনির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নিচ্ছে এবং কে হচ্ছেন সরকার দলীয় প্রার্থী-তা নিয়ে স্থানীয় জনগণ ও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মাঝে চলছে বিশ্লেষণ।
ইতিমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে এ উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোন তোড়জোড় দেখা না গেলেও জাতীয় পার্টি নির্বাচন করছে তা অনেকটা নিশ্চিত। অন্যদিকে সরকার দলীয় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে একাধিক হেভিওয়েট ব্যক্তির নাম।
তবে এখনো আওয়ামী লীগ ঘরনার কোনো সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। ডবলমুরিং থানা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি সামশুল আলম দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের (হালিশহর, পাহাড়তলী ও খুলশী) উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ১৪ জন প্রার্থী।
এরমধ্যে নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ কে এম বেলায়েত হোসেন ও সফর আলী, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ ও দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, নগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত ডা. আফছারুল আমীনের সহধর্মিণী কামরুন নেছা, আফছারুল আমীনের ছেলে ফয়সাল আমীন, আফছারুল আমীনের ভাই এরশাদুল আমীন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ নজরুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য প্রয়াত ইসহাক মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রেজওয়ান মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও সাবেক সিটি মেয়র মনজুর আলমের নাম শোনা গেলেও তারা কেউই এখনো দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেনি।
এ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগের আফছারুল আমীন। এ আসন থেকে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগে গত ২ জুন শুক্রবার তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
এখানে উপনির্বাচন হবে আগামী ৩০ জুলাই। বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগ্রহী প্রার্থীরা ৪ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৬ জুলাই।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। ১২ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ। ৩০ জুলাই ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই উপনির্বাচনে জয়ী নির্বাচিত সাংসদ সদস্যের মেয়াদ থাকবে মাত্র ৩ মাস। ফলে চট্টগ্রাম-১০ আসনের তিন মাসের সাংসদ কে হতে যাচ্ছেন তা নিয়েই এবারের ঈদুল আজহা কাটবে এলাকার সাধারণ জনসাধারণের।
জেএন/পিআর