চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নগরীর কিং অব চিটাগাংয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে সভায় জানানো হয়।
সম্মেলন সামনে রেখে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীকে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সদস্য সচিব এবং বর্তমান কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদুল আজহার পর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন যেসব ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি, তা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আগেই সম্পন্ন করা হবে এবং ইতোমধ্যে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে অসমাপ্ত কয়েকটি ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি থানার সাংগঠনিক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের থানা, ওয়ার্ড ও যে কয়েকটি ইউনিট সম্মেলন সমাপ্ত হয়নি সেগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যকরী কমিটি ওই সব সাংগঠনিক ওয়ার্ডে কমিটি গঠনে মহানগর আওয়ামী লীগ সরাসরি উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং এ ব্যাপারে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে তা যদি পালন করা না হয় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আগেও চেয়েছিলাম এবং এখনো চাই তৃণমূল স্তরের কমিটিগুলো সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হোক। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় নেতৃত্বের অসহযোগিতায় সম্মেলন বিলম্বিত হয়েছে। যেসব কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তারা যেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মূল্যায়ন করে কমিটি গঠন করেন।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে তৃণমূল থেকে প্রতিটি ওয়ার্ড, থানায় কোনো প্রকার ভেদাভেদ রাখা যাবে না এবং দলের নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যাকেই প্রার্থী নির্বাচন করা হবে তাকে অবশ্যই বিজয়ী করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আলহাজ আবদুচ সালাম, নোমান আল মাহমুদ এমপি, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী মো. হোসেন, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, মো. শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য কামরুল হাসান বুলু, আলহাজ পেয়ার মোহাম্মদ, আহমেদ ইলিয়াছ, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দীন আহমেদ, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আব্দুল লতিফ টিপু, ড. নিছার উদ্দীন মঞ্জু, মো. জাবেদ, হাজী বেলাল আহমদ প্রমুখ।
জেএন/এমআর