সৌদি আরবে হজ করতে গিয়ে মৃত্যুবরণকারী হজযাত্রীদের মধ্যে ৬ জন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বাসিন্দা।
গত ৩১ মে থেকে ২৮ জুনের মধ্যে হৃদরোগ, হিট স্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত্যুবরণকারীদের ৪ জন পুরুষ ও ১ জন নারী। মক্কায় বাংলাদেশ হজ অফিস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রয়াত হজযাত্রীরা হলেন- চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকার আবুল হাশেম (৬১), ফিরোজ শাহ কলোনির আব্দুল মতিন (৬০), সন্দ্বীপের মো. আব্দুল মান্নান (৬৯), বোয়ালখালীর সারোয়াতলী ইউনিয়নের বেঙ্গুরা এলাকার প্রবাসী মো. সফিউল আলম সফি (৬৩), কক্সবাজারের মনোয়ারা বেগম (৭২) ও বদরখালীর মো. রিদওয়ান (৬৪)।
৯ জুন মো. রিদওয়ান, ১৫ জুন মনোয়ারা বেগম ও ২৮ জুন মো. আব্দুল মান্নানের মৃত্যু হয়।
আবুল হাশেমের মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক। আব্দুল মতিনের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
এই হজযাত্রীদের কেউ মক্কায় হজ এজেন্সির ভাড়া করা হোটেলে, কেউ ক্লিনিকে-হাসপাতালে আসার পথে মারা যান। আর হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুতে মিনার তাঁবুতে প্রবেশ করেই স্ত্রীর সামনে হঠাৎ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মো. সফিউল আলম সফি।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ অফিসে কর্মরত একজন পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রয়াত হজযাত্রীদের দাফন করা হয়েছে মক্কার শরাইয়া কবরস্থানে।
সৌদি আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করলে মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। মরদেহ নিজ দেশে নিতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের আপত্তিও গ্রাহ্য করা হয় না।
মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়। আর মদিনায় মারা গেলে মসজিদে নববীতে জানাজা হয়। জেদ্দায় মারা গেলে জেদ্দায় জানাজা হয়। জানাজা শেষে মক্কার শারায়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে অথবা জেদ্দায় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মোয়াল্লিম মুফতি ফজলে এলাহী জানান, হজযাত্রীরা মহান আল্লার মেহমান। এ জন্য সৌদি আরব সরকার তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রয়াত হজযাত্রীদের কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করে থাকে।
চলতি হজ মৌসুমে বাংলাদেশ বিমানের ২২টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট মদিনা ও জেদ্দার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। এসব ফ্লাইটে ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রী পরিবহন করা হয়। এ বছর চট্টগ্রাম থেকে ১০ হাজারের বেশি যাত্রী পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গেছেন।
জেএন/এমআর