ডলারের বিপরীতে দাম বেড়েছে ২ টাকা ৮৫ পয়সা। দেশের ইতিহাসে যা রেকর্ড। এ অবস্থায় সোমবার (৩ জুলাই) ১০৮ টাকা ৮৫ পয়সা দরে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ নিয়ে ১ বছরে ডলারের দাম ১৫ টাকা ৪০ পয়সা বাড়ালো তারা। যে হার ১৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আমদানি খরচ আরও বাড়বে।
সরকারের সার, জ্বালানি, খাদ্যসহ জরুরি পণ্য আমদানির বিপরীতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের নির্ধারিত মূল্যেই তা বিক্রি হচ্ছিলো। যদিও খোলাবাজারে বেশি দরে কিনতে হয় গ্রাহকদের।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১-২২ সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।
তাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এক পর্যায়ে তা ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে।
এখন আন্তঃব্যাংকে (ব্যাংক টু ব্যাংক) সর্বোচ্চ যে দাম উঠবে, সেই দরেই ডলার বিক্রি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার সর্বাধিক মূল্য উঠেছিল ১০৮ টাকা ৮৫ পয়সা।
ডলারের দাম কয়েক দফা বাড়িয়ে সবশেষ ১০৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছরের শুরুতেও প্রতি ডলার ৯৯ টাকায় বিক্রি করতো তারা।
আইএমএফ ঋণের অন্যতম শর্ত হলো ঋণের সুদহার এবং ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা। ইতোমধ্যে সুদের হার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাজারভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত সঠিক। এখন দেখার পালা এটি কীভাবে পরিচালনা করা হয়। কারণ, ব্যাংকগুলো যদি বলে ১০৯ টাকার বেশি দরে বেচাকেনা হবে না। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তঃব্যাংকের দরই নেয়, তাহলে সেটা বাজারভিত্তিক হলো না।
তিনি মনে করেন, ডলারের দর পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিলেও তা ১১৪ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যেই থাকবে।
জেএন/পিআর