নিরাপদ সড়ক দাবিতে চলমান আন্দোলন এবং পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। রোববার (৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগ, ইন্সটিটিউটেই ক্লাস- পরীক্ষা হয়নি।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শিক্ষক বাসও যথাযথভাবে চলাচল করতে পারেনি। এজন্য শিক্ষক উপস্থিতিও ছিল অনেক কম। তবে শাটল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
এ ব্যাপারে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি আহমেদ সালাহ উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শিক্ষক বাসগুলো আসতে পারেনি। বিভিন্ন পয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচলে পরিবহন শ্রমিকরা বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে চলমান ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়ে ক্লাস- পরীক্ষা বর্জন করে সংগঠনটি। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থীই নিজ উদ্যোগে ক্লাস- পরীক্ষা বর্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটে শিক্ষার্থী উপস্থিতি প্রায় শুন্য। আবার অনেক বিভাগের শ্রেণিকক্ষে তালাও ঝুলতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বাংলা, আইন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইংরেজি, সংস্কৃত, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, সমাজতত্ব, রাজনীতি বিজ্ঞান, লোক প্রশাসন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স, অর্থনীতি, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, পরিসংখ্যান, ব্যাবস্থাপনা, মার্কেটিং, ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা, জিওগ্রাফি, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজের সবগুলো বিভাগসহ অধিকাংশ বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের প্রায় সবগুলো ব্যাচই ক্লাস- পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এখলাস জয়নিউজকে জানায়, আমরা ছোট ভাইদের আন্দোলনের সমর্থনে ক্লাশ- পরীক্ষা বর্জন করেছি। আজকে আমাদের টিউটোরিয়াল পরীক্ষা থাকা সত্বেও ছোট ভাইদের রক্তের উপর দাড়িয়ে আমরা যেতে পারিনি।
আর কোটা সংস্কার আন্দোলনের চবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আরজু মিয়া জয়নিউজকে বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর গতকালের নগ্ন হামলা ও শ্লীলতাহানীর প্রতিবাদে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। অধিকাংশ বিভাগই আমাদের সমর্থন জানিয়েছে।
বিপি