বিমানের ২৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারী প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সেইসাথে আরও রয়েছে ৪ জন সাধারণ ব্যক্তি।
এই ৩০ জনের মধ্যে আদালতে ১০ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ৩০ জনের মধ্যে ১১ জন গ্রেপ্তার আছে বলেও জানান তিনি।
যার মধ্যে ১০ জন বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দী দিয়েছেন।
ডিবি প্রধান জানান, জিএম অ্যাডমিনের রুম থেকে জাহিদ প্রশ্ন নিয়ে পরে সেটা কপি করে বিমানের এমডির পিয়নের সাহায্যে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতো। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করতো বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এর আগে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তিন ড্রাইভার ও দুই অফিস সহকারীকে চাকরীচ্যুত করা হয়।
তারা হলেন, বিমানের এমটি অপারেটর (ড্রাইভার) মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাহমুদুল ভূঁইয়া ও মো. এনামুল হক এবং এমএলএসএস (অফিস সহকারী) মো. হারুন অর রশীদ। এ ছাড়া ক্যাজুয়াল ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া এমএলএসএস আওলাদ হোসেনকেও চাকরীচ্যুত করা হয়।
গত বছরের ২১ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশের ড্রাইভারসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠলে পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগেই তা স্থগিত করা হয়।
এতে তাৎক্ষণিকভাবে নিয়োগপ্রার্থীরা বিক্ষোভ করেন। পরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে বিমানের পাঁচ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিমান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ পৃথক ৩টি কমিটি গঠন করে।
সেসময়ে অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বিমানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এখনো পরীক্ষা ও নিয়োগ কমিটির সদস্য রয়েছেন।
জেএন/পিআর