প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে-কমছে কাঁচা মরিচের দাম। পণ্যটির দাম এবং সেটি সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে। গত ২ জুলাই রাজধানীতে কাঁচা মরিচের সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৫০০-৬০০ টাকা কেজি। এরপর ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হলে দাম কিছুটা কমে, তাও সেটি ২৫০-৩০০ টাকা কেজি।
এমন বাস্তবতায় কাঁচা মরিচের প্রকৃত দাম দেখতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে মধ্যরাতে রাজধানীর পাইকারি কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারের কাঁচা মরিচের আড়তে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার (৫ জুলাই) রাতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ঢাকা জেলা) আব্দুল জব্বার মণ্ডলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানিক দল দোকানগুলো ঘুরে দেখতে পায়, একই মরিচ একজন ৩০০ টাকা, অন্যজন ৩২০ টাকা এবং আরেকজন ৩৫০ টাকা দাম হাঁকছেন। কিন্তু কারও কাছেই দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই, পুরো ব্যবসাটাই চলছে মৌখিকভাবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতি বৃষ্টি ও খরার কারণে এবার দেশে কাঁচামরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। অন্যদিকে, ভারত থেকেও পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে না। আমদানি করা কাঁচামরিচের দর পড়ছে ৩০০ টাকার বেশি। এর বাইরেও পরিবহন খরচ, এখানের ভাড়া সব মিলে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হবে। শুধু অভিযান চালালেই হবে না, সবকিছু বিবেচনা করতে হবে।
আব্দুল জব্বার মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আজকে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মরিচগুলো কোথা থেকে আসছে, কেমন দামে আসছে এবং সেগুলো এখানে এসে কত দামে বিক্রি হচ্ছে ও এই প্রক্রিয়ার মাঝে কোনো কারসাজি আছে কি না সেটি দেখা। আজকে দেখলাম, এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন অফিসে জমা দেয়া হবে।
জেএন/এমআর