আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ওয়ানডে দিয়েই ক্রিকেটে অভিষিক্ত দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ওই সময়ের অন্যতম ক্রিকেট পরাশক্তি কেনিয়ার বিপক্ষে দেশের হয়ে প্রথমবারের মতো লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়ে ছিলেন তামিম।
দিন যতই গড়াই তামিম ইকবাল খান হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের উজ্জল নক্ষত্র। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের এক সম্মুখ যোদ্ধা চট্টগ্রামের এই কৃতি ক্রিকেটার।
এবার ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালেই ভক্ত-সমর্থকদের হতাশ করে বিদায় বললেন এই ব্যাটার।
দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪১ ওয়ানডে ম্যাচে খেলেছেন চট্টগ্রামের এই বরপুত্র। ৩৬ দশমিক ৬২ গড়ে ৮ হাজার ৩১৩ রান করেছেন তিনি।
এর মধ্যে ১৪টি সেঞ্চুরি, ও ৫৬টি ফিফটি রয়েছে তার। আফগানদের বিপক্ষে এই সংস্করণেই তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন ক্ল্যাসিকাল এই ব্যাটার।
৭০ টেস্টে ৩৮ দশমিক ৮৯ গড়ে তামিমের রান ৫ হাজার ১৩৪। ক্রিকেটের রাজকীয় এই ফরম্যাটে ১০ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৩১টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি। এই ফরম্যাটে দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরি করেছেন তামিম।
অন্যদিকে টি–টোয়েন্টিতে ৭৪ ম্যাচে তামিম ১ হাজার ৭০১ রান করেছেন। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে একমাত্র তারই রয়েছে সেঞ্চুরি।
এর আগে, ২০২২ সালের ১৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হঠাৎ করেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন তামিম। এরপর থেকে শুধু টেস্ট আর ওয়ানডেই বাঁহাতি এই ওপেনারকে ২২ গজে দেখা গেছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫ হাজারের বেশি রান করেছেন তামিম। লাল-সবুজের জার্সিতে অন্য কোনো ক্রিকেটার এতো রান করতে পারেননি।
জেএন/পিআর