চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলরুটের আন্তনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার সাইদ মো. আবু তাহেরের শরীর ইঞ্জিনের গরম পানিতে ঝলসে গেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে ট্রেন চালানোর আগ মুহূর্তে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো ১ হাজারের বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতার ১৮ বগির মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভোর ৫টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তখন ট্রেনের সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার সাইদ মো. আবু তাহের দেখলেন, ট্রেনের ইঞ্জিন মারাত্মক গরম হয়ে গেছে। পরে তিনি নিজ উদ্যোগে ইঞ্জিনের ভেতরে ঠান্ডা পানি ঢালতে গেলে সেই পানি গরম ইঞ্জিনের সঙ্গে লেগে ছিটকে তার মুখমণ্ডল ও বুক ঝলসে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চাঁদপুর রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার সোয়াইবুল সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেকানিক্যাল ত্রুটির কারণে ইঞ্জিন মারাত্মক গরম হয়ে যায়। এতে আমাদের একজন চালক তা ঠান্ডা করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। এখন তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ওই ট্রেনের ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় ট্রেন বন্ধ রেখেছি। লাকসাম থেকে একটি ইঞ্জিন আনার চেষ্টা করছি। সেটি এলে মেঘনা ট্রেনটি পুনরায় চালু সম্ভব হবে। যাত্রীদের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ওসি মুরাদুল্লা বাহার বলেন, খবর পেয়েই আমরা চাঁদপুর বড়স্টেশন রেলকোর্ট স্টেশনে সঙ্গীয় ফোর্স তৎপর রয়েছি। নতুন ইঞ্জিন না আসা পর্যন্ত সব যাত্রীকে মালামালসহ নিরাপদে অবস্থান নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
জেএন/এমআর