হারলেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। এমন গুরুত্বপুর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠলো বাংলাদেশ। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই থিতু হতে পারেননি। ফলে আফগানদের ১২৬ রানে গুটিয়ে বুক উচুঁ করে নিজেদের তুলে ধরলো টিম বাংলাদেশ। ব্যাট-বলে টাইগারদের মতোই পারফরম্যান্স করে ৭ উইকেটের দারুণ জয়।
লজ্জা এড়াতে আফগানদের ৪৫.২ ওভারে ১২৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে সজহ লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। অবশ্য সেই তারায়ও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেনি নাঈম শেখ। নিয়মিত ক্যাপটেন তামিম ইকবালে পরিবর্তে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ এই ওপেনার। আগের ম্যাচে ৯ করা নাঈম এবার গোল্ডেন ডাক। এরপর শান্ত বিদায় নেন ব্যক্তিগত ১১ রান করে বিদায় নেন।
দলীয় ২৮ রানে দুই উইকেট হারালেও পেনার লিটনের মাতে জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। তারা দুজনে দল জয়ের পথে এড়িয়ে নেন। তবে দারুণ শুরুর পর বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৩৯ রানে। ৩৯ বলে ৫টি বাউন্ডারিতে এ রান করেন তিনি।
এরপর উইকেটের অন্যপ্রান্তে থাকা ওপেনার ও ক্যাপ্টেন লিটনের সাথে জুটি বাঁধের তাওহিদ হৃদয়। বাংলঅদেশের দলীয় রান তখন ১৭.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৯ রান। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি।
লিটন তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম হাফসেঞ্চুরি। হৃদয় ছিলের আক্রমাত্মক। লিটন ৬১ বলে চার বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৫৭ ও হৃদয় ১৮ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৩.৩ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১২৯ তোলে। ফলে ৭ উইকেটে বড় জয়।
এর আগে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই থিতু হতে পারেননি। ফলে আফগানদের ১২৬ রানে গুটিয়ে দেয় টাইগাররা। ৭১ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ওমরজাই। এটাই তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি।
ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ইবরাহিমকে পেরান এই পেসার। ১ রানে বিদায় নেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে রহমত শাহকে ফেরান তিনি। শূন্য রানেই বিদায় নেন আফগান ব্যাটার। ৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া আফগানরা বড় ধাক্কা খায় ষষ্ঠ ওভারেই।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো গুরবাজ তাসকিনের বলে মুশফিকের গ্লাভসে ক্যাস দেন। আউট হন ৬ রান করেছেন গুরবাজ। অষ্টম ওভারে আবার আঘাত হানেন শরিফুল।
মোহাম্মদ নবি এলবিডাব্লিউ হয়ে ১ রানে বিদায় নেন। মাত্র ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারায় আফগানরা। ইনিংসের ১৬তম ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন ১০ রান করে বিদায় নেন নাজিবউল্লাহ জাদরান।
এরপর তাইজুলের বলে ২২ রানে ফেরেন শহীদি। দ্বিতীয় স্পেলে এসে আবার উইকেটের দেখা পান শরিফুল। ৯ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাইজুলের মতো তাসকিনও শিকার করেন দুটি উইকেট। এছাড়া একটি করে পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব।
জেএন/পিআর