তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে গুজব ছড়ানো হয় সেটি আমাদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এর মাধ্যমে দেশে বিভিন্ন সময় হানাহানি সৃষ্টি হয়েছে। গুজব ছড়ানো এ সমস্ত ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইইউয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলগুলোর ব্যাপারে ইউরোপে আইন সংশোধন করা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধি দল বলেছে যে, ইউরোপে প্রতিটি সামাজিক মাধ্যমকে নিবন্ধিত হতে হবে। যেটি আমরা অনেকদিন ধরে বলে এসেছি। ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবসহ সব সামাজিক মাধ্যমকে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বলে এসেছি, বাংলাদেশের আইন অনুসারে এখানে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য। কিন্তু তারা এখনো নিবন্ধিত হয়নি। ইইউ একটি ফ্রেমওয়ার্ক ল’ তৈরি করেছে। সব সামাজিক মাধ্যমকে ইউরোপে নিবন্ধিত হতে হবে। আইন অনুসারে তারা এটি করতে বাধ্য।
তিনি জানান, যে বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে তা হলো— সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোর দায়িত্বশীলতা আছে।
মন্ত্রী বলেন, যখন কোনো গুজব ছড়ানো হয় বা বিতর্কিত পোস্ট দেওয়া হয়, সেটি যখন আমরা সরিয়ে ফেলতে বলি তখন তা সরানো হয়। যদিও বা তারা সেটি সরায়, সেটা মাত্র ১০ শতাংশ। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে তারা সরিয়ে ফেলে না। সেসব জিনিস যখন সরানো হয় তখন ইতোমধ্যে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যায়। কারণ গুজব তো কয়েক ঘণ্টায় ছড়ায়। এতে সামাজিকভাবে হানাহানি তৈরি হয়। আমাদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করেছি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না; প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বিএনপি ছাড়া এ নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান সম্প্রচারমন্ত্রী।
জেএন/এমআর