ঈদে পাঠানো প্রবাসীদের ২৫ মেট্রিক টন পণ্য নষ্ট হচ্ছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ওয়্যারহাউসে। চার মাস ধরে বন্ধ ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা প্রবাসীদের কার্গো পণ্যের খালাস।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাগেজ রুলের নামে তাদের বঞ্চিত করা অযৌক্তিক। তবে কাস্টমসের দাবি নিয়মের বাইরে থাকা পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ২ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো খালাস বন্ধ রেখেছে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ । এতে রোজা ও ঈদ ঘিরে প্রবাসীদের পাঠানো ৯০টি চালানে প্রায় ২৫ মেট্রিকটন পণ্য আটকে যায় বিমানবন্দরে।
যতো দিন যাচ্ছে এসব পণ্য নষ্ট হবার শংকার পাশাপাশি প্রতিদিন বাড়ছে বিমানবন্দরের গুদামের ভাড়া। এছাড়া পণ্য খালাস প্রক্রিয়ায় যুক্ত শতাধিক শ্রমিকও এখন বেকার। এই প্রক্রিয়ায় একটি পক্ষকে আলাদা সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠালে সরকার যেখানে প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহিত করে, সেখানে তাদের স্বজনদের জন্য পাঠানো এসব পণ্যের ব্যাপারেও বিশেষ ব্যবস্থা থাকা উচিত।
যদিও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহার ঠেকাতেই এই উদ্যোগ। আটকে পড়া পণ্যের জন্য প্রবাসীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নিলে সেটি খালাস দেওয়া হবে।
গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরেও একই কারণে প্রায় দুশ মেট্রিকটন পণ্য বিমানবন্দরে আটকা পড়েছিল। পরে ডিসেম্বরে সেগুলো খালাসের অনুমতি দিয়েছিল রাজস্ব বিভাগ। সূত্র:বি ভিশন
জেএন/পিআর