২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছে অন্তত ২৮৯ জন শিশু। জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা ইউনিসেফের ‘গ্লোবাল লিড অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট’ প্রকল্পের শীর্ষ নির্বাহী ভেরিনা নাউস শুক্রবার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন এ তথ্য।
বিবৃতিতে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা জানান, মৃত এই শিশুদের সবাই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশে ইচ্ছুক বিভিন্ন অভিযাত্রী দলের সঙ্গে ছিল। গত বছরের প্রথম ছয়মাসের তুলনায় চলতি বছরের শিশুমৃত্যুর হার প্রায় দ্বিগুণ।
গত কয়েক বছর ধরে ভূমধ্যসাগরের তুরস্ক, লিবিয়া ও তিউনিসিয়া উপকূল থেকে ইউরোপগামী অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই অভিযাত্রীদের অধিকাংশই গিনি, সেনেগাল, গাম্বিয়া সিরিয়া এবং আফগানিস্তানের।
বিবৃতিতে ভেরিনা নাউস বলেন, ‘একটি শিশুর মৃত্যু মানে একটি হাসির, একটি স্বপ্নের চিরতরে হারিয়ে যাওয়া। এই শিশুদের মৃত্যু চাইলেই থামানো যেতো।
যেসব শিশু মারা গেছে- তারা আমাদের চোখের সামনে মারা না গেলেও তাদের মৃত্যুর জন্য কোনো না কোনোভাবে আমরা দায়ী। আমাদের সচেতনতা, আইন প্রণয়ন ও তা প্রয়োগে উদাসীনতা তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
সবচেয়ে পীড়াদায়ক যেটি, তা হলো অভিবাসন প্রত্যাশীদের সাগরে ডুবে মরার ব্যাপারটি আমরা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করছি।