বিরোধী রাজনৈতিক দলের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ পরবর্তী র্যালীতে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে পুরো এলাকা কার্যত জনস্রোতে রূপ নেয়।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যেখানে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিকেল ৩টায় কর্মসূচির সময় নির্ধারণ করা হলেও তার বেশ আগে পুরো এলাকা চলে যায় নেতাকর্মীদের দখলে। সমাবেশস্থল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট হলেও এর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে প্রেসক্লাব থেকে মৎস্য ভবন, রমনা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) বলেন, এই সমাবেশ প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ দেশের এক নম্বর সংগঠন। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল।
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যদি নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেন, আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলা করেন তবে ভয়াবহ পরিণতি হবে। আজকে থেকে শুরু করে নির্বাচন আগ পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। রাজপথেই জবাব দেব।
দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগের এই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ এবং র্যালীর আয়োজন করা হয়।
প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে তার দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। ওরা ভেবেছে নৈরাজ্য করে পার পেয়ে যাবে।
অগ্নিসন্ত্রাস করলে, নৈরাজ্য করলে আমরা কিন্তু বসে থাকবো না। এতে যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে দায়ী থাকবে বিএনপি-জামায়াত। আজকে থেকে আমাদেরও আন্দোলন সংগ্রাম শুরু হলো।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে হাজির হন সমাবেশ স্থলে। ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড-ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে স্লোগান আর মিছিলে মুখরিত করে তোলে পুরো এলাকা।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো। ঢাকা-৫ আসন থেকে সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে চমক দেখান স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।
বিকেল ৫টার দিকে সমাবেশ শেষ হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট থেকে র্যালী শুরু হয়। র্যালীটি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
জেএন/পিআর