কক্সবাজারে নিজ শ্বশুরবাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বিদেশ ফেরত প্রবাসী শ্বশুরকে গুলি করে হত্যা মামলার ঘটনায় জামাতা সহ ৮ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই মামলায় আনোয়ার হোসেন নামে অপর এক আসামিকে ডাকাতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে থাকা মামলার অপর ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোশাররফ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এড: শওকত বেলাল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মঞ্জুর হোসেন, মোহাম্মদ আলম, শহর মল্লুক ওরফে কালু, আনোয়ার হোসেন ওরফে কালুইন্না, জসিম উদ্দিন, মোস্তাক, আক্তার কামাল ও সাহাব উদ্দিন। তাদের সবার বাড়ি কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়ায়।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ওয়াহিদ মুরাদ, দিদারুল আলম দিদার, আবুল কালাম বরমাইয়া, আমিন, নুর মোহাম্মদ, রিয়াদ প্রকাশ দেলোয়ার প্রকাশ দুধুইয়া, শফিক প্রকাশ শফিক্কা, বকতিয়ার, আবদুর রহিম ও শফি। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ও খালাসপ্রাপ্ত সবাই পলাতক ছিলেন।
এপিপি শওকত বেলাল জানান, ২০০০ সালের ১৩ জুন কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়ার বাঁচামিয়ারঘোনা এলাকার প্রবাসী মোহাম্মদ হোসেনের বাড়িতে তার জামাতা মঞ্জুর আলমের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। ওই সময় তারা মোহাম্মদ হোসেনের মাথায় গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ছবুরা খাতুন বাদী হয়ে ওই বছরের ১৫ জুন কক্সবাজার সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটির দীর্ঘ ২৩ বছরের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার (২০ জুরাই দুপুরে) এ রায় ঘোষণা করেন।
এ রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মনে করছে বাদীপক্ষ।
জেএন/শামীম/এমআর