কোনো দলকে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই দলকেই রাজধানীতে সমাবেশ করতে একই শর্ত বেঁধে দেওয়া হবে। তবে সমাবেশের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের মতো ব্যবস্থা নেবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বাড়ার মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। যুবলীগ তাদের সোমবারের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ পিছিয়ে বৃহস্পতিবার নিয়ে যায়। বিএনপির অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের সহযোগী তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়।
দুই দলের সমাবেশের স্থান নিয়ে গতকাল দিনভর ছিল নাটকীয়তা। বুধবার দুপুর পর্যন্ত মহাসমাবেশের স্থান নিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দর-কষাকষি হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগও সমাবেশের কয়েকটি সম্ভাব্য স্থান নিয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত নানা ধরনের তৎপরতা চালায়।
বুধবার রাত ৯টার দিকে প্রথমে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তাদের মহাসমাবেশ বৃহস্পতিবারের (আজ) পরিবর্তে শুক্রবার হবে। এর আধা ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগও জানায়, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ সমাবেশটিও হবে শুক্রবার বেলা আড়াইটায়।
বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু জানান, তারা আগামীকাল শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটেই সমাবেশ করবে। বিএনপিও তাদের পূর্বনির্ধারিত স্থান নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে।
এমন প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুটি দল কোথায় সমাবেশ করবে সেই অনুমতি এখনো দেওয়া হয়নি। তাছাড়া কোনো দলকেই রাস্তা বন্ধ করতে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই দলকেই রাজধানীতে সমাবেশ করতে একই শর্ত বেঁধে দেওয়া হবে বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মাদক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বহু আগ থেকেই মাদক আমাদের সমস্যার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে আমাদের দেশে অনেক সর্বনাশী ড্রাগ চলে এসেছে। আমরা মাদক তৈরি করি না, কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী কিংবা অন্য দেশ থেকে আসা মাদকের সবচেয়ে খারাপ শিকার হচ্ছি আমরা।’
জেএন/এমআর