যেসব দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করছে না তাদের নতুন একটি তালিকায় রেখেছে রাশিয়া। ওই তালিকার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বন্ধু নয়’ এমন রাষ্ট্র।
আর সে তালিকায় নতুন করে জায়গা হয়েছে মস্কো নরওয়ে। ফলে নরওয়ে এখন আর রাশিয়ার বন্ধু নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার পর কোন কোন দেশ বন্ধু, আর কোন কোন দেশ বন্ধু নয়- এমন একটি তালিকা প্রকাশ করে রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর যেসব দেশ ও অঞ্চল রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’ নিয়েছে, তাদের ওই তালিকায় রাখা হয়।
ওই সময় বলা হয়, বন্ধু নয়, এমন দেশ ও অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা নাগরিকদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করা হবে।
আরআইএ নভোস্তি বলেছে, যেসব দেশকে রাশিয়া ‘বন্ধু নয়’ তালিকায় যুক্ত করেছে, তারা রাশিয়ায় নিজ দূতাবাসে সীমিতসংখ্যক স্থানীয় কর্মী নিয়োগ করতে পারবে। এই তালিকায় নতুন করে নরওয়ে জায়গা পাওয়ায় দেশটি মাত্র ২৭ জন কর্মী নিতে পারবে।
গত এপ্রিলে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৫ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে নরওয়ে। জবাবে রাশিয়াও নরওয়ের ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।
আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে নরওয়ের। দেশটি বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে নরওয়ে অবন্ধুসুলভ আচরণ করেছে, এমন দাবি করার কোনো কারণ নেই।
রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানিকেন হুইটফেল্ট বলেছেন, ‘আজকের এই পরিস্থিতি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের ফল। রাশিয়া নিজেই যুদ্ধ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
প্রতিবেশী দেশ হিসাবে আমাদের উভয়েরই কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং যোগাযোগের চ্যানেলগুলো কেবল কঠিন সময়েই নয়, বরং সব সময়ে কার্যকর রাখার আগ্রহ রয়েছে।
নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, নরওয়ে এখনো মস্কোর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পায়নি। তবে রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের নির্দিষ্ট কোনো পরিণতি আছে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি তিনি।
জেএন/পিআর