প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ বিজয় নগর ও ঝিলে এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী অন্তত আড়াইশ পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
শনিবার (৫ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে বসবাসকারীদের সরিয়ে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
এসময় জেলা প্রশাসকের সাথে ছিলেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, স্টাফ অফিসার টু ডিসি প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও আকবরশাহ থানার ওসি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পাহাড় রক্ষায় ও মানুষের জানমাল রক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগরে ৬টি সার্কেল ভাগ হয়ে জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম কাজ করছে। প্রতিদিন মাইকিং থেকে শুরু করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পাহাড়ে যাতে মানুষের আর প্রাণ না দিতে হয় সে জন্যে কাজ করছি। মাইকিং থেকে শুরু করে সকলকে সচেতন করার লক্ষে প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে।
আজকেও আমি নিজে ঝুকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ২৫০ পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছি। তাদের জন্যে শুকনো খাবার থেকে শুরু করে প্রতিবেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি।
চট্টগ্রামের সকল পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত পরিবারকে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত কয়েকদিন আগে বেলতলীঘোনায় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বসবাসরতদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
যারা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা ও নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। পাহাড় রক্ষায় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে। ব্যক্তি বা সরকারি যার মালিকানায় পাহাড় থাকুক, যারা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেএন/পিআর