মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় ট্রলারডুবির পর এ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ মোট ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের সবাই সেই ট্রলারটির যাত্রী ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধার এই মৃতদের মধ্যে ৪ জন নারী, ২ জন শিশু ও ২ জন পুরুষ বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে এটি ট্রলার ডুবে যায়। জানা গেছে, পারিবারিক একটি পিকনিকে সিরাজদিখান উপজেলার লুতব্দি ও লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া এলাকার মোট ৪৭ জন পদ্মা নদীতে ঘুরতে যান। ফেরার পথে রাত ৮টার দিকে লৌহজং উপজেলার তালতলা ডহরি খালের রসকাটি এলাকায় একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
নিখোঁজদের উদ্ধারে লৌহজং উপজেলা ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়রা কাজ করছেন।
টংগিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও নূরে আলম বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে দুইটি বাচ্চার মরদেহ আনা হয়। একজনের বয়স আট বছর, নাম রায়হান। অপরজনের বয়স পাঁচ মাস।’
স্থানীয় খিদিরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, ঘটনাস্থলে এক নারীর মরদেহ রয়েছে। তিনি তিন সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।
এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোকসেদা (৩০) নামের এক নারীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। মোকসেদা সিরাজদিখান উপজেলার লুতব্দি এলাকার বাসিন্দা বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আনজুমান আরা।
জেএন/এমআর