বিশ্ব ক্রিকেটের জৌলুস মাখানো ট্রফি এসেছে বাংলায়,উন্মত্ত পদ্মায়। পদ্মার পাড়ে বৃষ্টিস্নাত বিকেলে ফটোশনে মাতলো বিশ্বকাপ ট্রফি,দেখলো বিশ্ব ক্রিকেট,দেখলো বাংলা কোটি ক্রিকেট প্রেমী।
তিন দিনের সফরে বাংলায় ঘুরছে বিশ্বকাপের ট্রফিটা।পদ্মা সেতুর ৪২ টার পিলারের সবার প্রথমটায় ঐতিহাসিক ফটোসেশন শেষে দ্বিতীয় দিনে মিরপুরের হোম গ্রাউন্ডে এসেছে জৌলুসের ট্রফিটা। লাল সুবজের জার্সিতে যারা লড়বে তারা কাছে গিয়ে দেখেছে বিশ্বকাপটা। ছবির ফ্রেমে বন্দী হয়েছে মুশফিক, মিরাজ, রিয়াদরা সাথে ছিলেন বাংলার তরুণ তুর্কীরা। বিশ্বকাপ ট্রফিটার কত কাছে, কত নিকটে দাঁড়িয়ে মুশফিক তার পিছনে আফিফ,পাশে জয় শান্ত অপর পাশে নাসুম, তাইজুল আর বাকিরা।বিশ্বকাপ টা ছুঁয়ে দেখেছে তারা। তবে স্বপ্নের আকাশে ডানা মেলে উডতে পারবে কি ওরা, ছুয়েঁ দেখা হবে কি অধরা স্বপ্নটা।
এত কাছ থেকে ট্রফিটা দেখে মুশফিক, রিয়াদদের হয়তো বেড়েছে প্রত্যাশা, জয় করব বিশ্বকাপটা, ট্রফি উচিঁয়ে সেলিব্রেশনে মাতবে সাকিব,তামিমরা।
আনুষ্ঠানিক সফর শেষে অন্য কোনো মানচিত্র ঘুরতে চলে যাবে ক্রিকেট জৌলুসের প্রতীকটা। মনের ক্যানভাসে যদি এমন একটি ছবি ভাসে, যদি এমন একটা কমেন্ট্রি কানে ভাজে সাকিব মেইকস দ্যা হিস্টোরি, বাংলাদেশ ওন দ্যা ওয়ার্ল্ড কাপ। বড় পর্দায় হবে খেলা দেখার আয়োজন, টিভি সামনে বসে হবে চিৎকার, রাস্তায় হেটেঁ যাওয়া ব্যস্ত পথিক হয়তো দেখবে জয়ের মুহুর্তটা, রাস্তায় রাস্তায় আতঁশ বাজিতে মাতবে ক্রিকেট ভক্তরা। অফিসে ক্রিকেট না দেখা বসও মেতে উঠবে কলিগের সাথে, জয়ে উচ্ছ্বাসে। ভাবলেই যেন শিহরিত হয় শরীর আর খাঁড়া হয়ে যায় লোম।
আনুষ্ঠানিক সফর শেষে অন্য কোনো মানচিত্র ঘুরতে চলে যাবে ক্রিকেট জৌলুসের প্রতীকটা। যাওয়ার আগে ওদের হয়তো বলে যাবে তোমরা যদি লড়তে পারো, আবার আসিবো ফিরে এই পদ্মার তীরে, এই বাংলায়। সাকিব হয়তো মনে মনে বলছে তুমি আবারো আসবো এই পদ্মার বুকে, এই পদ্মা সেতুতে, বলবো সর্তীথদের সাথে ঠোটেঁ ঠোঁটে মিলিয়ে আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।