ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী নওরীন নুসরাত (২৬)। ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার ইসলামবাগ গ্রামের খন্দকার নজরুল ইসলামের মেয়ে।
গত জুলাই মাসের ২১ তারিখে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার কলাকান্দা গ্রামের মৃত জহিরুল আলমের চাকুরীজীবি ছেলে ইব্রাহিম খলিলের সাথে পারিবারিকভাবেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নওরীন।
কিন্তু সংসার জীবন বেশিদুর টেনে নিতে পারেনি। বিয়ের মাত্র ১৬তম দিনেই নিভে গেল নওরীনের জীবন প্রদীপ। স্বামীর বাসার ছয় তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যাওয়ায় তিনি মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
স্বামী ইব্রাহিম খলিল ভলভো ব্যাটারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। নিহত নওরীন স্বামীর সঙ্গে সাভারের আশুলিয়ার পলাশবাড়ী নামা বাজারের পাশে বিজয়নগর রোডে আব্দুর রহিমের মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় থাকতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ওই বাড়িতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক জি এম আসলামুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নিহতের বাবা আমাদেরকে মৃত্যুর সংবাদ জানালে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তারা কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তার অমতে বিয়ের কারণে পারিবারিক কলহ থেকে এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।
বাড়ির ম্যানেজার ফারুক হোসেন বলেন, ইব্রাহিম খলিল আমাদের বাড়িতে ৬ মাস যাবৎ রয়েছে। শুনেছি গত জুলাই মাসের ২১ তারিখে বিয়ে হয়।
এরপর ১৫ দিন হলো ইব্রাহিম তার স্ত্রী নওরিনকে নিয়ে আসেন। আজ বিকেলে হঠাৎ করে বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যায় নওরিন।
পরে খবর পেয়ে নুসরাতকে নিয়ে স্থানীয় হাবিব ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশকে জানানো হলে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে নওরীনের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের পর সর্বশেষ কয়েকদিন স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। পারিবারিক কলহ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নওরীনের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের স্বামী ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমার সঙ্গে স্ত্রীর কোনো ঝামেলা নেই। ঘটনার সময় বাসায় ছিলাম না। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
জেএন/পিআর