আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সে কারণে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে চীন কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
এছাড়া, পদ্মাসেতুর পর এবার বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে চীনের আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতুর পর এবার পশ্চিমাঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে চায় চীন। একইসঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে চীনা বিনিয়োগকারীদের। এসব বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘ সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করবে চীন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গেলে ২০২৬ সাল পরবর্তী বিশ্ব বাণিজ্যে যেসব প্রতিবন্ধকতায় পড়তে পারে বাংলাদেশ সেখানেও শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে পাশে থাকবে চীন। বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে চীন চিন্তিত নয় বলেও জানান তিনি।
গত ১০ জুলাই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচন বা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলা মানে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নয়। এমনকি কেউ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কথা বললেও ওয়াশিংটন সেটাকে স্বাগত জানায় বলেও জানিয়েছে দেশটি।
জেএন/এমআর