আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত কি একটা বার্তা দিয়েছে, এটা তাদের ব্যাপার। সেখানে বিএনপি নেতারা মন্তব্য করেন। অবস্থাটা এমন যে, এরা ভয়ে হাত-পা গুটিয়ে ফেলেছেন। ভারতভীতিতে ঘুম ভেঙে যায় তাদের।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, এ দেশের জনগণ আমাদের ভোট দেবে। আমাদের কাজ দিয়ে, উন্নয়ন দিয়ে আমরা ভোট চাইব। আমরা গায়ের জোরে ক্ষমতায় নেই, গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসব না। এই আশ্বাস আমি দিতে চাই।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন হলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের আটলান্টিকের ওপরে তাকাতে তাকাতে তাদের চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে। খবর আসে না। নিষেধাজ্ঞা আসে না। ভিসা নীতি আসে না কেন? শেখ হাসিনা যায় না কেন? এসব নিয়ে তাদের রাতে ঘুম হারাম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। প্রধানমন্ত্রী রুটিং ওয়ার্ক করবেন। দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমরা ঠিক সেইভাবে নির্বাচন করব।
তিনি বলেন, মিডিয়ায় দেখলাম, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত একটা বার্তা পাঠিয়েছে। যে অভিন্ন যাত্রায় বাংলাদেশকে স্ট্যাটাজিক কারণে আমরা হারাতে পারি না। এটা ভারত-আমেরিকার মিত্রতা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভারত এসে আমাদেরকে গদিতে বসিয়েছিল? ২০০১ সালে জোর করে আমাদের হারানো হয়েছে। তখন কি ভারত এসে এখানে ইন্টারফেয়ার করেছে? ভারত কোনো নির্বাচনে এই পর্যন্ত আমাদেরকে একটা কথাও বলে নাই। বাংলাদেশের নির্বাচন গণতন্ত্রের আদর্শে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারাতো (বিএনপি) ভারতের হাই কমিশনারের বাসায় গিয়ে ডিনার খেয়েছেন। আমরা টেলিভিশন নিয়ে যাই না। বাইরে থেকেই বাংলাদেশের প্রায় সব টেলিভিশন খোঁজখবর দিয়ে দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে মিত্রতা করতেছি। মিত্রতা হলো না? আমরাতো কোনো আওয়াজও দেইনি। তিনজনকে দাওয়াত দিয়েছে, তিনজনই গেছি, কথা-বার্তা বলেছি। নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি। কীভাবে নির্বাচন করব এটা আমাদের ব্যাপার। হয়তো কথার প্রসঙ্গে কথা এসেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপির যতটা উদ্বেগ তার চেয়ে বেশি নোংরা রাজনীতি করছে দলটি। খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে দলটির আইনজীবীরাও দীর্ঘসূত্রিতা করেছে। খালেদা জিয়াকে মরার আগেই কয়েকবার মেরে ফেলছেন মির্জা ফখরুলরা।
জেএন/এমআর