খুলনায় নাশকতার জন্য জড়ো হওয়ার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার নারীর স্বামী আলমগীর শিকদারের দাবি, তার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অবস্থায় মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ায় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২০ আগস্ট) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন মো. রকিবুল ইসলাম (২৪), মো. তামিম ইকবাল (১৯) ও আনিছা সিদ্দিকা (৪৫)।
পুলিশ জানায়, রোববার নগরীর খালিশপুরের ফয়েজ উদ্দীন সড়কের সিদ্দিক হেলালের বাসায় বসে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা নাশকতা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছিল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সেই বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ উগ্রপন্থী বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ষড়যন্ত্র করার কাজে ব্যবহৃত ৩টি ল্যাপটপ, একটি পাসপোর্ট ও ৪টি মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামালসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় টের পেয়ে এ সময় আরও বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়।
তবে গ্রেপ্তার নারীর স্বামী আলমগীর শিকদারের দাবি, তার স্ত্রী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তার ছোট ছেলে তানজিলুর রহমান আমেরিকায় পিএইচডি গবেষণারত এবং বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী। আমেরিকায় বসে ফেসবুকে সাঈদীকে নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় খুলনায় তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় দুজন ভাড়াটিয়া প্রতিবাদ করতে আসায় তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার আনিছার পরিবার অভিযোগ করেন, খুলনার বয়রা এলাকার হাজী ফয়েজউদ্দিন সড়কে তার নানাবাড়িতে স্থানীয় যুবলীগ নেতারা পুলিশ নিয়ে হাজির হয়ে তাণ্ডব চালায় ও লুটপাট করে। দুটি ল্যাপটপ ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। তার মামা সিদ্দিক শহীদকে মারধর করে। এ সময় মা আনিছা সিদ্দিকা প্রতিবাদ জানানোয় তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এ সময় দুজন ভাড়াটিয়া এগিয়ে আসায় তাদেরও সঙ্গে নিয়ে গেছে।
খালিশপুর থানার ওসি মনিরুল গিয়াস বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠক করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে খালিশপুর ফয়েজ উদ্দীন সড়কের ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে আদালতে চালান করা হয়েছে।
জেএন/এমআর