ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার সময় পকেটে ১ হাজার ২২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট লুকিয়ে রাখায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মীর মাহমুদুল হাসান।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে মামলা দায়েরের পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মাদক দ্রব্যের মামলা আদালতে নিষ্পত্তি করার পর বিভিন্ন সময়েই আাদালত চত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়ে থাকে। বুধবার বিকেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন বিচার বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের মালখানায় জমা থাকা ফেনসিডিল, স্কফ, বিয়ার, বিদেশি মদ ও ইয়াবা ধ্বংস করতে চত্বরে নিয়ে আসার সময় এক প্যাকেট ইয়াবা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান নিজ প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে ফেলেন। তবে তার প্যান্টের পকেট উঁচু হয়ে থাকায় বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটের সন্দেহ হয়। এ সময় উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ সদস্যদের মাহমুদুল হাসানকে তল্লাশি করতে বলেন। পরে তল্লাশি করে তার প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার ২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় আদালতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সেই সহকারী প্রসিকিউটরকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন।
জেএন/এমআর