ম্যাচের দুই তৃতীয়াংশ সময় লিভারপুল খেলল ১০ জনের দল নিয়ে। তার ওপর ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত ছিল ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে। হার যখন চোখ রাঙাচ্ছিল তখনই দৃশ্যপটে আসলেন ডারউইন নুনেজ।
দ্বিতীয়ার্ধের বদলি হিসেবে নামা উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ডের কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে অল রেডসদের এনে দিলেন স্মরণীয় এক জয়।
নিউক্যাসেলের বিপক্ষে প্রায় হাত ফসকে যাওয়া ম্যাচ লিভারপুল জিতল ২-১ ব্যবধানে। নুনেজের জোড়া গোলের আগে প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের একমাত্র গোলটি আসে ফরোয়ার্ড অ্যান্থনি গর্ডনের পা থেকে। নাটকীভাবে হেরে আট বছর পরে ঘরের মাঠে লিভারপুলকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ মিস করলো নিউক্যাসেল।
২৫ মিনিটে গর্ডনের গোলটি অবশ্য লিভারপুলের ভুলে।মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে লিভারপুল। মাঝমাঠে মোহামেদ সালাহর ব্যাক পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ড। অরক্ষিত স্থানে বল পেয়ে এগিয়ে বক্সে ঢুকে লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসনেকে সহজেই পরাস্ত করেন।
তিন মিনিট অবশ্যই এর থেকেও বড় ধাক্কা খায় অলরেডসরা।সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইককে।ডি বক্সে ঢোকার বল নিয়ে ঢুকা মুখে ইসাককে বাজেভাবে ফাউল করে বসেন ফন ডাইক। তবে সেটি সরাসরি লালকার্ড দেখানোর মত অপরাধ কিনা সেটা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
প্রিমিয়ার লিগে ২৩১ ম্যাচে দ্বিতীয়বার লাল কার্ড দেখলেন ফন ডাইক। প্রথমবার দেখেছিলেন ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সাউথ্যাম্পটনে থাকতে।
তবে এত বাজে শুরুর পরও লিভারপুল রক্ষা পেয়েছেন নুনেজের অসাধারণ নৈপুন্যে।চেলসির সঙ্গে ড্রয়ে আসর শুরুর পর টানা দ্বিতীয় জয় পেল ক্লপের দল। পয়েন্ট তালিকায় লিভারপুল আছে চতুর্থ স্থানে।
জেএন/পিআর