এশিয়ার নোবেল খ্যাত র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেলেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখসান্দ। সেই সঙ্গে সম্মানজনক এই পুরস্কার পেয়েছেন ভারত, ফিলিপাইন ও পূর্ব তিমুরের আরও তিনজন।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) র্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে এবারের পুরস্কার বিজয়ী হিসেবেচারজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের করভি রাখসান্দের নামও রয়েছে।
করভি রাখসান্দ ছাড়া পুরস্কার পাওয়া বাকি তিনজন হলেন- ভারতের রবি কান্নান আর, পূর্ব তিমুরের ইগুয়েনিও লেমোস ও ফিলিপাইনের মিরিয়াম করোনেল–ফেরের।
এবার র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারের ৬৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন করা হচ্ছে। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত র্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন এ পুরস্কার দিয়ে থাকে।
তারা তাদের ওয়েবসাইটে পুরস্কার প্রাপ্তদের সম্পর্কে বলেছে, বাংলাদেশের সর্বজনীন মানসম্মত শিক্ষার বিকাশে একজন অগ্রগণ্য ব্যক্তি করভি রাখসান্দ। তিনি নিজ দেশের তরুণদের মধ্য সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
রবি কান্নান পেশায় চিকিৎসক। ভারতের আসামে দরিদ্র মানুষের ক্যানসার চিকিৎসায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
ইগুয়েনিও লেমোস তার দেশে পরিবেশ ও আদিবাসী সংস্কৃতি রক্ষায় কাজ করছেন। সেই সঙ্গে টেকসই ও স্বাধীন খাদ্য সরবরাহব্যবস্থায় তার অবদান রয়েছে।
অন্যদিকে শান্তি আলোচনার মধ্যস্ততায় নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে কাজ করেন ফিলিপাইনের মিরিয়াম।
এর আগে মোট ১২ বাংলাদেশি এই পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন- সমাজসেবী তহরুন্নেসা আবদুল্লাহ (১৯৭৮), ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ (১৯৮০), গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (১৯৮৪), গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী (১৯৮৫), ক্যাথলিক ধর্মযাজক রিচার্ড উইলিয়াম টিম (১৯৮৭), দিদার কমপ্রিহেন্সিভ ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন (১৯৮৮), বেসরকারি সংগঠন বাঁচতে শেখার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাঞ্জেলা গোমেজ (১৯৯৯), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (২০০৪), প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান (২০০৫), বেসরকারি সংগঠন সিডিডির নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম নোমান (২০১০), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (২০১২) ও বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী (২০২১)।
জেএন/এমআর