ঝালকাঠির কারাগারে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে এক বন্দির স্ত্রীকে এক বিছানায় রাত কাটানোর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কারাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
সেই নারী লিখিত অভিযোগে বলেছেন, কারাধ্যক্ষের সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় তাকে। কথা না শুনলে কারাগারে স্বামীকে কষ্ট দেওয়ার ভয় দেখানো হয়।
সেই নারী এই ঘটনায় সুবিচার চেয়ে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি কারা) মো. জাহাঙ্গীর কবির সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত বুধবার জমা দেওয়া সেই অভিযোগে ওই নারী বলেন, গত ২৯ জুলাই তার স্বামীকে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরদিন কারাগারে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। কিন্তু দেখা করতে পারেননি।
পরে জেলা কারাধ্যক্ষ বা জেলার মো. আক্তার হোসেন শেখের সরকারি ফোন নম্বরে কল দিয়ে তিনি স্বামীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর তিনি ওই নারীকে স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেন। এরপর থেকে কারাধ্যক্ষ তার ফোন নম্বরে কল দেওয়া শুরু করেন বলে অভিযোগ করেন সেই নারী।
স্বামীর সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলিয়ে দেবেন বলে ওই নারীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চেয়ে নেন। এরপর ভিডিও কলও দিতে শুরু করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এক পর্যায়ে কারাধ্যক্ষ ভিডিও কলে ওই নারীর যৌনাঙ্গ দেখতে চান। তার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেন। তার কথা না শুনলে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না এবং স্বামীকে জেলখানায় কষ্ট দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ঝালকাঠি জেলা কারাগারের জেলার মো. আক্তার হোসেন শেখ বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। কারাগারের নিয়মানুযায়ী ১৫ দিন পর প্রত্যেকে একবার করে সাক্ষাৎ পাবেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে প্রতিদিন সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন সুমাইয়া। তিনি বাড়তি সুযোগ না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনেছেন।
তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেল সুপার মিলন চাকমা বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জানতে পেরে ওই নারীকে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ দিতে বলা হয়। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
জেএন/এমআর