ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বসাধারণের জন্য যান চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। এতে তিন চাকার অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও সাইকেল চলাচলের অনুমতি নেই। সেই সঙ্গে পথচারীরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না।
গতকাল শনিবার বিকেলে কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার উড়ালসড়ক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী টোল দিয়ে প্রথম যাত্রী হিসেবে গাড়িতে করে এই এক্সপ্রেসওয়ে পার হন।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাড়ে ১১ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হতে ১২ মিনিট সময় লাগবে। পুরো এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। কাওলা থেকে বনানী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর ও মানিকনগর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হয়েছে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি)।
বিভিন্ন স্থান থেকে এতে ওঠা-নামা যাবে। ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড অথবা শাহবাগ, সেগুনবাগিচা ও পুরান ঢাকা থেকে এসে যারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে চান, তাদের বিজয় সরণি ওভারপাস অথবা তেজগাঁও এলাকায় যেতে হবে।
বিজয় সরণি হয়ে র্যাংগস ভবন পার করে যে ওভারপাসটি তৈরি হয়েছে, সেটিতে উঠে তেজগাঁও যাওয়ার আগেই এক্সপ্রেসওয়েতে সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে আসতে ওভারপাসে ওঠার জন্য আরেকটি সংযোগ রয়েছে।
রাজধানীর দক্ষিণ, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাংশের মানুষের জন্য এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার এই পথই সহজ। তবে যারা বনানী যেতে পারবেন, তারা বনানী রেলস্টেশনের সামনে থেকে উঠতে পারবেন।
ঢাকা উড়ালসড়কে ওঠানামার আরও পথ রয়েছে। পাঠকদের জন্য সেটি তুলে ধরা হলো-
দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান
১. হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা।
২. প্রগতি সরণি এবং বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব।
দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান
১. বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ।
২. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে।
৩. ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে।
উত্তর অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান
১. বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর ও দক্ষিণ লেন।
২. বনানী রেলস্টেশনের সামনে।
উত্তর অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান
১. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে।
২. বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর সামনে বিমানবন্দর সড়ক।
৩. কুড়িল বিশ্বরোড
৪. বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে।
জেএন/এমআর