শ্রম আদালতে চলমান নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে আইনি লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নতুন করে প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলীকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, শুরু থেকে এই মামলাটি আমি করে আসছি। শুধু শ্রম আদালত নয়, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে আমি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলাটি করে এ পর্যাযে নিয়ে এসেছি। এখন আমি মামলাটি একাই করতে চাই। তবে ক্লায়েন্টকে বলেছি, আমাকে না হয় উনাকে যেকোনো একজনকে রাখবেন। দুজনকে রাখলে আমি থাকব না।
এদিকে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলাটি শ্রম আদালতে বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে গত ২০ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিলে রুল খারিজের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এর ফলে শ্রম আদালতে মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই।
গত ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। অন্য তিনজন হলেন— গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
জেএন/এমআর