রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নির্মিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। প্রথম দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই উড়ালসড়ক থেকে আয় হয়েছে ১১ লাখ ৮ হাজার ২৪০ টাকা। তবে দ্বিতীয় দিন টোল আদায় হয়েছে প্রায় ২২ লাখ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়ার দ্বিতীয় দিন সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে ২৭ হাজার ১২১টি যানবাহন। আর প্রথম দিন ১৩ হাজার ১৬৫টি যানবাহন উড়ালসড়কে চলাচল করেছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার বলেন, দ্বিতীয় দিনে টোল আদায় হয়েছে দ্বিগুণ। সামনে যত দিন যাবে ততই টোল আদায় বাড়বে, কারণ চালকেরা উড়ালপথ ব্যবহারে আরও দক্ষ হবেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠেছে মোট ২৭ হাজার ১২১টি। এসব গাড়ির মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, ফার্মগেটের পথে ১৪ হাজার ৩০০টি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেটের পথে ৩ হাজার ১০৫টি গাড়ি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দরের পথে ২ হাজার ৯৪৪টি গাড়ি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৬ হাজার ৭২৮টি গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেছে। এসব গাড়ি থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০ টাকা।
জেএন/এমআর