দুবাই বসে চট্টগ্রামে কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদ!

দুবাইয়ে বসে চট্টগ্রামে আউটসোর্সিংয়ের মোবাইল মেসেজ পাঠিয়ে কোটি টাকার অনলাইন প্রতারণা করছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মোহাম্মদ সম্রাট ও সাতকানিয়ার মান্নান নামের দুই প্রতারক।

- Advertisement -

তারা দুবাই অবস্থান করে পন্নী, নাবিল, জাহান ও ক্রিস্টিনর নামসহ আরো বিভিন্ন নামে ছদ্মবেশ ধারণ করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভূয়া আউটসোর্সিং এর কথা বলে অনলাইন প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নেন দেশীয় কোন ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে।

- Advertisement -google news follower

আবার তারা কোন পরিচিত হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে টাকা গুলো দুবাই নিয়ে যায়। এমন তথ্য পেয়েছে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-বন্দর ও পশ্চিম) মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, দুবাইয়ে অবস্থান নিয়ে একটি প্রতারক চক্র চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাংলাদেশীদের একাউন্ট ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

- Advertisement -islamibank

চক্রের একজন প্রধান হলেন হাটহাজারীর সম্রাট আরেকজন সাতকানিয়ার মান্নান। আমরা সম্রাটের মা, ভাই এবং এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করার পর প্রতারণার বিষয়টি তারা স্বীকার করেছে।

অতি: উপ-পুলিশ কমিশনার সামীম কবির জানান, চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানায় মামলা নং-০৫, তারিখ-০৭/০৯/২০২৩ ইং, ধারা-২৩/২৪/৩৫ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর আসামি আল ফয়সাল, আরেফা বেগম ও নিজাম উদ্দিনকে আমরা গ্রেফতার করি। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও প্রতারণায় ব্যবহ্নত ৪টি ফোন জব্দ করি।

আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, আল ফয়সালের ছোট ভাই সম্রাট (২৬) দুবাই থেকে আউটসোসিং এর নামে আত্মসাৎয়ের জন্য নিজেদের তৈরি দুটি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অনলাইন প্রতারণা করে সম্রাটের মা আরেফা বেগম, তার ভাই আল ফয়সাল এবং তাদের প্রতিবেশি বেলালদের কাছে আত্মসাৎকৃত কয়েক কোটি টাকা টাকা জমা করেন।

এদিকে সম্রাটের মা ও ভাই গ্রেফতারের পর একাধিক ভুক্তভোগী পুলিশকে জানায়, তাদের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস আসে যে, আপনি চাকুরির পাশাপাশি পার্টটাইম কাজ করে বাড়তি আয় করতে পারবেন।

পরবর্তীতে ভিকটিমরা সরল বিশ্বাসে তাদের কথা বিশ্বাসে করে চাকুরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের কথা চিন্তা করে তাদের কথা মত অনলাইন আউটসোর্সিং কাজে যোগ দেয়। পরে ভিকটিম টেলিগ্রামে তাদের সাথে ম্যাসেজ আদান প্রদান করতে থাকে।

অনলাইন প্রতারক ভিকটিমদের বলে যে, আপনি তাদের পাঠানো ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট খোলেন এবং তাদের দেয়া কাজগুলো করলে পেমেন্ট পাবেন।

পেমেন্ট উত্তোলনের আগ পর্যন্ত ভিকটিমের একাউন্টে টাকা জমা হতে থাকে। এভাবে কাজ করতে করতে অল্পতেই ভিকটিমের উক্ত ওয়েব সাইটের একাউন্টে ১-২ লক্ষ টাকা জমা হলে অনলাইন প্রতারক ভিকটিমদের জানায়, আপনি অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুল করেছেন যার কারণে আপনার কিছু পয়েন্ট কাটা গেছে।

আপনার একাউন্টের জামকৃত টাকা তুলতে হলে তাদের প্রি-পেমেন্ট করতে হবে। ভিকটিমদের জমাকৃত টাকা উত্তোলনের লোভে পড়ে তাদের চাওয়া ৬৮ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিলে আবার তাদের কাজে ভূল হয়েছে বলে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে জানায়।

এভাবে ধাপে ধাপে কারো কারো কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কারো কাছ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা, কারো ২২ লক্ষ টাকা সহ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র গ্রুপটি।

অতি: উপ-পুলিশ কমিশনার সামীম কবির বলেন, চক্রটি পরিচালিত হচ্ছে দুবাই থেকে। তদন্তে চক্রটির এক ব্যক্তির গত ২ মাসে একটি একাউন্টে ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা ও আরেকটি একাউন্টে ২ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।

জেএন/এফও/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM