শাটল ট্রেনের ছাদে করে যাওয়ার সময় গাছের ধাক্কায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার প্রতিবাদে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর শাটলের বগির সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানায় চবি ভিসি।
এসময় তিনি বলেন, শাটলের ব্যাপারে আমরা রেলওয়েকে বলতে বলতে শেষ। এমনকি রেলওয়ে মন্ত্রী আমাদের গতবছরই বলেছিলেন ট্রেন দিবেন। আমরা পাইনি। তারা বলেছে তারা চেষ্টা করছে আরও দুই তিনটা বগি বাড়ানোর।
তাছাড়া আহতদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আহতরা যেন ভালো চিকিৎসা পায় এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে আমরা এটাই চাইব।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেন, চৌধুরীহাট এলাকায় রেললাইনের জায়গায় গাছের ডালপালা ঝুলে ছিল। শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট পার হওয়ার সময় ছাদে থাকা শিক্ষার্থীরা হেলে পড়া গাছের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়। এছাড়া কয়েকজন চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান।
জানা গেছে, আহতদের মধ্যে ৯ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে নেওয়া হয়েছে আইসিইউতে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বক্সের বেশকিছু চেয়ার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে তারা ভিসির বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন দফতরে থাকা অন্তত ৪০টি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
জেএন/পিআর