চট্টগ্রাম নগরের ওশান কন্টেইনার লিমিটেড (ওসিল) নামে একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে তৈরি পোশাকের চালানে চাল, সেমাই ও মসলা পেয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের উত্তর পতেঙ্গা এলাকার ওই ডিপোতে থাকা চালানটির একটি কার্টনে এসব পণ্যের সন্ধান পান কর্মকর্তারা। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) চালানে থাকা ২২টি কার্টন কায়িক পরীক্ষা করা হয়।
কাস্টমস সূত্র জানায়, চালানটির রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী মাদামবিবিরহাট এলাকার জাহানারা ট্রেডিং কর্পোরেশন। এটির বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকার এমআর এক্সপ্রেস লিমিটেড। কথা ছিল চালানটিতে মোট ২২ কার্টনে ২ হাজার ১০০ পিস টি-শার্ট ও ১ হাজার ১০৩ পিস প্যান্ট যাবে।
কিন্তু কায়িক পরীক্ষা শেষে ওই চালানে ১ হাজার ৩৪৮ পিস টি-শার্ট, ৩৯২ পিস পায়জামা, ১ হাজার ৩৬২ পিস প্যান্ট, ৪৯৬ পিস গার্লস টপ, ১১০ পিস লেডিস শার্ট, ৫১ পিস নাইটি, ২৪ পিস ছেলেদের হাফপ্যান্ট ও ১১০ পিস ব্রা পাওয়া যায়। এছাড়াও চালানটিতে ১ কেজি ওজনের ১০ প্যাকেটে ১০ কেজি সুগন্ধি চাল, ২০০ ওজনের ৭ প্যাকেটে ১ কেজি ৪০০ গ্রাম সেমাই, ৪০ গ্রাম ওজনের ৬ প্যাকেটে ২৪০ গ্রাম মসলা ও ৩০০ গ্রাম পাচফোঁড়ন পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. নুরুল বসির বলেন, চালানটিতে ঘোষণার চেয়ে অতিরিক্ত ৬৯০ পিস তৈরি পোশাক এবং খাদ্যসামগ্রীগুলো পাওয়া যায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি পোশাক রপ্তানির আড়ালে ১০টি প্রতিষ্ঠান ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ১১৮ ডলার বা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড, ফ্যাশন ট্রেড, এম ডি এস ফ্যাশন, হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, থ্রি-স্টার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, অনুপম ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেড, পিক্সি নিটওয়্যারস লিমিটেড, স্টাইলাইজ বিডি লিমিটেড ও ইডেন স্টাইল টেক্স।
জেএন/এমআর