জার্মানি-যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে ২০৩০ সালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হবে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কমনওয়েলথ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ফোরাম ২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও কমনওয়েলথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভৌগলিক দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তিনশ কোটি মানুষের বাজারের কেন্দ্রস্থল এ কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩০ সালে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের বাজারকে পেছনে ফেলে তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হবে বাংলাদেশ।
সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির একটি। জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৩৫তম, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম জিডিপির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে আমরা আশা রাখি।
২০৪১ সালের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনীতি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সব খাত উন্মুক্ত; বিনিয়োগের প্রক্রিয়া সহজতর করা হয়েছে, যাতে বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করে লভ্যাংশ তাদের দেশে নিয়ে যেতে পারে।হাইটেকপার্কগুলোতেও বিদেশি বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নের ফলে পরিবহন সুবিধায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ থেকে আবাসন; সবক্ষেত্রেই মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। আমদানি-রফতানি গতিশীল করতে বন্দরগুলোও উন্নয়ন করা হচ্ছে।
এ সময় বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছর এবং সামরিক সরকারের পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ মন্দার কবলে পড়েছিল। ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আমরা দেশকে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমরা স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে দেশ গঠনের কাজে মনোনিবেশ করি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারের ধারাবাহিকতা এবং পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচি দ্রুত বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
জেএন/এমআর