বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ৬৮তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডে খুনি-ঘাতকচক্রের হাতে পরিবারের সকল সদস্যকে হারানোর পর বেদনার মহাসমুদ্র বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দুই বোন ছিলেন একে অপরের শেষ অবলম্বন। দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে দুই বোন কাটিয়েছেন নির্বাসিত ও দুর্বিষহ প্রবাস জীবন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মানব ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম সেই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রথম প্রতিবাদ গড়ে তোলেন শেখ রেহানা।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও কখনো সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি শেখ রেহানা। কিন্তু প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামসহ প্রতিটি সঙ্কটে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের অন্যান্য রাজনীতিকদের অনুপ্রেরণা যোগানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা হওয়ার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের যেমন ভূমিকা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার পেছনেও শেখ রেহানার অনুরূপ ভূমিকা রয়েছে। ১৯৭৫ পরবর্তী এদেশের রাজনীতিতে বাঙালি জাতির সাফল্য-সংগ্রাম ও অর্জনে তিনি এক আত্মপ্রচার বিমুখ নেপথ্যের কাণ্ডারি। তিনি আত্মনিবেদিত প্রাণ, দেশ প্রেমিক এক মহিয়সী নারী। তিনি তার নামে বরাদ্দকৃত ধানমন্ডিস্থ বাড়িটিও দেশের প্রয়োজনে দান করে দিয়েছেন।
কাদের বলেন, শেখ রেহানা মনে প্রাণে একজন বাঙালি ও বাঙালির প্রয়োজনে উদারনৈতিক মানবিক মনোভাবাপন্ন নির্মোহ এক ব্যক্তিত্ব। তিনি অসাধারণ গুণাবলীতে সমৃদ্ধ এক মানবিক হৃদয়ের অধিকারী। বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে বাঙালির প্রতি তার অসীম মমতা, দরদ ও ভালোবাসা। চিন্তা-চেতনে, মন-মননে তিনি একজন আদর্শ বাঙালির নারীর প্রতিকৃতি। সততার অনুকরণীয় আদর্শ শেখ রেহানা একজন রত্নাগর্ভা মা। নিজের তিন সন্তানকে তিনি বিশ্বের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।
যারা আজ নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল ও প্রতিষ্ঠিত। পিতা বঙ্গবন্ধুকে হারানোর পর সীমাহীন দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছেন এবং ধৈর্য্যরে সঙ্গে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেছেন। লন্ডনের মতো শহরে এখনও গণপরিবহনে যাতায়াত করেন। পরিবারের সদস্যদের হারানোর দুঃখ-বেদনাকে একান্ত নিজের করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে পথ চলেছেন অবিরাম ধারায়।
তিনি বলেন, বড় বোন শেখ হাসিনার মতো শেখ রেহানাও স্বপ্ন দেখেন পিতা মুজিবের সোনার বাংলার, উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের। যার হৃদয়ের ক্যানভাসে নিরন্তন ধারায় প্রবাহিত হয় বাংলা ও বাঙালির মঙ্গল-চিন্তা। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ কামনায় নিশঙ্কচিত্তে তিনি সর্বদা আপোষহীন। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সত্ত্বেও একজন নিরহংকারী সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপনের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ধৈর্য্য, সততা, সাহস, দৃঢ়তা, অধ্যাবসায়, নিষ্ঠা, উদারতা ও সংযমের অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত এক মানবিক চরিত্রের নাম শেখ রেহানা। জন্মদিনে তাকে আবারও শুভেচ্ছাসিক্ত অভিনন্দন।
জেএন/এমআর