রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটে ভোররাতে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। যোগ দিয়েছেন র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো নিয়ন্ত্রণহীন এ সর্বনাশা আগুন। পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে শত শত দোকান। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। দিশেহারা প্রায়।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছেন আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করছে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
গতরাত পৌনে ৪ টার দিকে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, কল্যাণপুর ও হেডঅফিস থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনের তীব্রতাও বাড়ছে।
বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। ঘটনাস্থলে পানির সঙ্কট দেখা দেয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পোহাতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, রাত পৌনে ৪ টায় আগুনের সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
প্রথমে ৭ টি ইউনিট কাজ করলেও আগুনের তীব্রতা বাড়ায় ইউনিট বাড়িয়ে দেয়া হয়। তবে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার আব্দুর রহমান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রনে আরও সময় লাগবে।
দুবাই জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী আমির হোসেন জানান, ভোর চারটায় খবর পেয়ে মার্কেটে আসেন তিনি। তখনও অবশ্য তার দোকানে আগুন লাগেনি।
মার্কেট বন্ধ থাকায় সামান্য কিছু মালামাল সরাতে পারলেও সব সরাতে পারেননি। তার দুটি দোকানে দুই কোটি টাকার জুয়েলার্সের মালামাল ছিল বলেও জানান তিনি।
সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স আবু কাওসার বলেন, তার দোকানে দুই কোটি টাকার কাছাকাছি মালামাল ছিল। কিছু বের করা গেছে তবে বেশিরভাগই দোকানে থাকায় আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
মার্কেটটিতে স্বর্ণের দোকান ছাড়াও কাপড়, প্লাস্টিকের মালামাল, ক্রোকারিজ ও ব্যাগের দোকান ছিল। সব কিছু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জেএন/পিআর