বিমানবন্দর ব্যবহার করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণ পাচারকারীরা বিদেশ থেকে দেশে আনছে কোটি কোটি টাকার স্বর্ণ। এ চক্রটি পাচারে সহায়তা করছে বিমান বন্দরে কর্মরত গুটিকয় কর্মচারী।
তাদেরই একজন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত কফিশপ স্টাফ মো. জাভেদ। পাচারকারী চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে চুক্তিতে প্রতিটি স্বর্ণের বার পাচারে সহায়তা করে পাঁচ হাজার টাকা করে পাই জাবেদ।
তবে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)র তৎপরাতায় তার এ অপরাধ প্রকাশ পায়। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে প্রায় ৫৩ লাখ টাকা মূল্যের পাঁচটি স্বর্ণের বার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাচারে জড়িত এক যাত্রীসহ জাভেদকে আটক করে এপিবিএন গোয়েন্দা দল।
আটক যাত্রীর নাম বেলায়েত মোল্লা। তার পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি একজন ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার। প্রতিমাসেই তার দুবাই যাওয়া আসার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের এডিশনাল এসপি মোহাম্মদ জিয়াউল বলেন, ইকে-৫৮২ ফ্লাইটযোগে বেলায়েত মোল্লা ঢাকায় অবতরণ করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রী বেলায়েত বিমান থেকে নামার পর থেকেই নজরে রাখছিল এপিবিএন।
এসময় তিনি আগমনি ইমিগ্রেশনে না গিয়ে ওপরে ডিপার্চার এলাকায় প্যাসেঞ্জার ওয়েটিং এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। ফোনে যোগাযোগ করেন এরোস নামের কফিশপের স্টাফ জাভেদের সঙ্গে।
পরে স্বর্ণের বারগুলো জাভেদকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বের করে নেয়ার জন্য হ্যান্ড ওভার করেন যাত্রী বেলায়েত। এরপর অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু করেন।
কফিশপ এরোসের স্টাফ জাভেদ এ সময় বারগুলো নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে কাস্টমস চ্যানেলের পর বেলা ১২টায় তাকে আটক করে এপিবিএন গোয়েন্দা দল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, জাভেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বর্ণ পাচারের চেষ্টায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং যাত্রীর পরিচয়ও নিশ্চিত করেন।
পরে ওই যাত্রীও কাস্টমস গ্রিন চ্যানেল পার করলে তাকে আটক করা হয়। এসময় দু’জনেই যোগসাজশে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন।
পরবর্তীতে তাদের তল্লাশি করে পাঁচটি স্বর্ণের বার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ৬৭৯ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫৩ লাখ টাকা।
আটক জাভেদ ও ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
জেএন/পিআর