তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর ব্যক্তিগত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিক জামাল খাশোগি ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ চলছে সৌদি রাজপরিবারে। এরমধ্যে বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের নামে প্রিন্সদের আটক ও হয়রানি তো আছেই।
সৌদি রাজপরিবারের বেশ কয়েক সদস্য মোহাম্মদ বিন সালমানকে সিংহাসনে আরোহন থেকে প্রতিরোধে উঠেপড়ে লেগেছেন। সেক্ষেত্রে সিংহাসনে বসতে পারেন বাদশাহ সালমানের একমাত্র ভাই প্রিন্স আহমেদ।
এরই মধ্যে ‘সুশাসনের মিত্র’ নামে পরিচিত দেশটির বিরোধী জোট আগামী এক বছরের জন্য নতুন বাদশাহ হিসেবে আহমেদকে ক্ষমতা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এ বিরোধী জোট প্রথমবারের মত দেশটির শাসন ক্ষমতায় পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বিবৃতি দিলো।
কিন্তু যুবরাজের বাবা ৮২ বছর বয়সী সালমান বিন আবদুল আজিজের মৃত্যুর পরই এ পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন রাজপরিবারের সদস্যরা। পশ্চিমা পরাশক্তিগুলো, নিরাপত্তা সংস্থা ও রাজপরিবারের সদস্যদের তার প্রতি সমর্থন রয়েছে।
প্রিন্স আহমেদ লন্ডনে বসবাস করে আসছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই তিনি গত অক্টোবরে দেশে ফেরেন। লন্ডনের বাসভবনের বাইরে সৌদি রাজতন্ত্রের পতনের দাবিতে বিক্ষোভের সময় প্রতিবাদকারীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি সৌদি নেতৃবৃন্দের সমালোচনা করেন।
২০১৭ সালে সৌদি আরবের হাইয়াত আল বাইয়াত বা আনুগত্য পরিষদের তিন ব্যক্তি সিংহাসনের উত্তরসূরি হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরোধিতা করেন। প্রিন্স আহমেদ তাদেরই একজন।
তবে এ বিষয়ে প্রিন্স আহমেদ কিংবা তার প্রতিনিধিদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।-রয়টার্স