বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা এক কন্টেইনার স্যুটিং ও প্যান্টিং ফেব্রিকস জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা। এতে করে করে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হয়।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নাজমুল হোসিয়ারি প্রাইভেট লিমিটেড কন্টেইনার শতভাগ পলি নিটেড ফেব্রিকস আমদানির ঘোষণা দেয়। বন্ড সুবিধার আওতায় (শুল্কমুক্ত) নির্ধারিত ওয়্যারহাউজের জন্য কাপড়গুলো আমদানির করার কথা ছিল। চালানটির ঘোষিত মূল্য ছিল ১২ হাজার ২৮০ মার্কিন ডলার। এটি খালাসের জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আহসান এন্টারপ্রাইজ।
কিন্তু মিথ্যা ঘোষণায় আমদানির বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়ায় অ্যাসাকুইডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে চালানটি লক করে দেওয়া হয়। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা। এতে প্রায় ২৮ টন স্যুটিং ও প্যান্টিং ফেব্রিকস পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর) সাইফুল হক বলেন, উরুগুয়ের একটি প্রতিষ্ঠানকে লেডিস শার্ট তৈরি করে রপ্তানির জন্য পণ্যচালানটি বন্ড সুবিধার আওতায় শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু সেলস কন্ট্রাক্ট ও ব্যাংকিং দলিলাদি অনুযায়ী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণায় স্যুটিং ও প্যান্টিং ফেব্রিকস আমদানি করেছে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধায় পণ্য আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রির চেষ্টা করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জেএন/এমআর