চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১১ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় নিউমার্কেট ও স্টেশনরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ইয়াসিন আরাফাত (২২), মো. মাসুদ (৩২), আমিনুল ইসলাম (২০), মো. মামুনুল ইসলাম (২২), মাঈন উদ্দিন (৩৫), মো. ইয়াছিন হোসেন রবিন (২২), মো. সাগর (২২), মো. জাহিদ হোসেন (২৫), মো. সোহাগ (২৫), মো. শাকিল (২৪) ও মো. ওয়াসিম (২৪)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির। তিনি বলেন, গতকাল রাতে ফ্রান্সিস রোডের মুখে অন্ধাকারাচ্ছন্ন জায়গায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে কৌশলে প্রথমে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের কাছ থেকে ৪টি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চার-পাঁচজন পালিয়ে গেছে। এরপর দিবাগত রাত ১টায় রেল স্টেশন সংলগ্ন ৭ নম্বর বাস কাউন্টার পার্কিংয়ের ভেতর থেকে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৩টি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়। আর এসময় ৬ জন পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা কয়েকজন করে একেকটা গ্রুপ হয়ে আলাদা-আলাদা গ্রুপে ভাগ হয়ে আমতল, নিউ মার্কেট মোড়, স্টেশন রোড এলাকা, আন্দরকিল্লা এলাকায় বাসে থাকা অফিসগামীদের মোবাইল টান দেওয়া, মহিলাদের গলা থেকে চেন টান দিয়ে ছিনিতে নিতো। এছাড়া নিউমার্কেট মোড়ে যাত্রীরা যখন বাসে উঠে তখন সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে ঠেলাঠেলি করে মোবাইল নিয়ে নেয় এবং সন্ধ্যায় ও রাতে স্টেশনের ট্রেন যাত্রী, বাস যাত্রী ও পথচারীদের এবং রিক্সায় থাকা মহিলা যাত্রীদের ছোরার ভয় দেখিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কিছুদিন আগে জামিনে বের হয়ে এসেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি আইনে দুটি মামলা রুজু হয়।
গ্রেপ্তার আসামি আরাফাতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ১টি মামলা, মাসুদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ১টিসহ দুটি মামলা, ইয়াছিন হোসেন রবিনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে এবং মাদকদ্রব্য আইনে ৩টি ও সাগরের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে এবং মাদকদ্রব্য আইনে ৫টি মামলা এবং সোহাগের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে ও মাদক আইনে ৫টি মামলা আছে। এছাড়া পৃথক অভিযানে স্টেশন রোড এলাকায় সন্দেহজনকভাবে আরও ৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সিএমপি অর্ডিন্যান্সে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জেএন/এমআর