রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রাস্তায় এলোপাতাড়ি গুলির সময় গুলিবিদ্ধ মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল মারা গেছেন। সোমবার সকালে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ভুবন শীল।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুবনের স্ত্রী রত্না রাণী শীল।
গত সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় প্রাইভেটকার আরোহী এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। সেই গুলি লাগে মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায়। তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে ওই রাতেই তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ভুবনের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার চলে। মাথা থেকে দুটি স্প্লিন্টার বের করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে কি না, তা ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর জানানো হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে ভুবনের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে।
পপুলার হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে ভুবনের চিকিৎসা চলছিল। শেষ পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ভুবন।
ভুবন চন্দ্র শীল গুলশানে গোমতী টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন। সেদিন রাতে কাজ শেষে মতিঝিলের আরামবাগের বাসায় ফেরার পথে গুলিবদ্ধ হন তিনি। আরামবাগের বাসায় একা থাকতেন। তার স্ত্রী রত্না রানী শীল একমাত্র সন্তানকে নিয়ে নোয়াখালীর মাইজদীতে থাকেন। রত্না মাইজদীর একটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাদের মেয়ে ভূমিকা চন্দ্র শীল সদ্য এসএসসি পাস করেছে।
এদিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ভুবনের স্ত্রী রত্না রানী শীলের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জেএন/এমআর