শেরপুরে সাধারণ মুসল্লিদের চোঁখ ফাঁকি দিতে কবরস্তানের আশে পাশে ভ্যান চালায় আব্দুর রহিম। তার মূল পেশা কবর থেকে মানুষের কঙ্কাল চুরি। শুধু রহিমই নয়,এ চক্রে জড়িত রয়েছে একাধিক সদস্য।
সম্প্রতি শেরপুর সদরের মির্জাপুর এলাকার তিনটি কবর থেকে তিনটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা তদন্ত নেমে চক্রটির সন্ধান পাই পুলিশ। অভিযানে নেমে কঙ্কাল চোর চক্রের মূল হোতাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ অফিসের সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা মির্জাপুর কবরস্থান থেকে তিনটি কঙ্কাল চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরবর্তীতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কঙ্কাল চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত। জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন কবরস্থান থেকে এ পর্যন্ত ৬৫টি কঙ্কাল চুরির তথ্য স্বীকার করেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে কঙ্কাল চুরির পর ঢাকায় যাদের কাছে বিক্রি করা হয়, সে চক্রেরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই চক্রের গ্রেপ্তার ছয় জন হলেন শেরপুর সদরের চান্দের নগর এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আঃ রহিম, নকলা উপজেলার মেদীরপাড় এলাকার আঃ রউফের ছেলে সোহেল রানা, নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন, মৃত রমজান আলীর ছেলে মোঃ গোলাম রাব্বানী।
এদিকে এসব কঙ্কাল কেনার দায়ে নরসিংদী জেলার আব্দুল আলীর ছেলে সোহেল রানা, মুন্সীগঞ্জের মৃত মনির হোসেন হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেএন/পিআর