মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার প্রধান আতাউল্লাহ’র একান্ত সহকারী এবং অর্থ সমম্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নোমান চৌধুরী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু কোনার পাড়ার সাব্বির আহমদের ছেলে।
আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে অধিনাক লে: কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য জানান। বলেন, গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র প্রধান আতাউল্লাহ’র একান্ত সহকারী নোমান চৌধুরী অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত নোমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর সীমান্তবর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বাজার সংলগ্ন কোনারপাড়ায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করার সময় আরসার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্কোয়াড্রন লীডার রিজওয়ান রুশদী নিহতের ঘটনা সাথে নোমান চৌধুরী জড়িত।
নোমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র সাথে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। সে দীর্ঘদিন ধরে আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও সার্বক্ষনিক অস্ত্রধারী বডিগার্ড হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল।
এছাড়াও হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরসার জন্য প্রেরিত অর্থের প্রধান সমন্বয়ক এবং প্রাপ্ত অর্থ আরসা’র বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের মাঝে পৌঁছে দেয় বলে সে স্বীকার করেছে।
সে আরসা’র জন্য ইউনিফরমের কাপড়, ঔষধ সামগ্রী, ওয়াকিটকি, ল্যান্ড মাইন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনা-কাটা করে বলে জানায়।
আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে বলে সে জানায়।
এর আগেও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)র শীর্ষ সন্ত্রাসী হাফেজ নুর মোহাম্মদ, রহিমুল্লাহ প্রকাশ মুছাসহ ৬০ জন আরসা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে র্যাব।
জেএন/রাজীব