দেশের পূর্বকোণে এখন ক্রিকেট উত্তাপ। রাত পোহালেই শীতের সকালে বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (উইন্ডিজ) ক্রিকেট দলের দীর্ঘ সফর। যার শুরুটা ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাট টেস্ট ম্যাচ দিয়ে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) থেকে বাংলাদেশ-উইন্ডিজের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায়।
স্পিনের স্বর্গরাজ্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে ইনজুরি কাটিয়ে দলনেতা সাকিবের ফেরায়। তাঁর সাথে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ সেরা তাইজুল আর মেহেদি মিরাজ জ্বলে উঠলে উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের ম্যাচে টিকে থাকা বেশ কঠিনই হওয়ার কথা।
অন্যদিকে গ্যাব্রিয়েল-রোচ এর উইন্ডিজ পেস আক্রমণ ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে যেকোন পিচে। তবে বাংলাদেশের মূল লড়াইটা নিজেদের সঙ্গেই।
টেস্টে দু’দলের ১৪ বার
মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয় মাত্র ২টিতে। হেরেছে ১০ ম্যাচেই। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়। তাই র্যাংকিংয়ে নয়ে থাকা বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে উইন্ডিজকে পেয়ে উন্নতির গ্রাফটা উর্ধ্বমুখীই করার কথা।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, আমাদের র্যাঙ্কিংয়ের পজিশন খুব কাছাকাছি। তাই ওরা যেমন ওদের ঘরের মাঠে ভালো করতে পেরেছে, স্বাভাবিকভাবে আমাদেরও লক্ষ্য থাকবে ওইরকমই ভালো করি এখানে। আমি তো আশাবাদী, পুরো দলও মনে করে ওদের সাথে ভালো করা সম্ভব। সেই বিশ্বাসটা সবার ভেতরে আছে। যেহেতু দুই দলে র্যাঙ্কিংয়ে আট-নয়ে, আমি মনে করি এই সিরিজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা ভালো করব।”
এই ম্যাচে সৌম্য সরকারের সাথে ওপেন করার জোর সম্ভবনা আছে নবাগত সাদমান ইসলামের। তবে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার শক্তিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যর্থ ইমরুল পেতে পারেন আরেকটি সুযোগ। সাকিবের দলে ফেরায় জায়গা হারাতে পারেন মিঠুন। এছাড়া দুই পেসার আর তিন স্পিনার নিয়েই মাঠের রণনীতি সাজাতে পারে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে উইন্ডিজ অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা অন্যরকম এক সিরিজ হবে। আমরা আগেও এখানে কয়েকটি ম্যাচ জিতেছি, তবে এবারের দলটি আরও শক্তিশালী। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্পিনাররা খুব ভালো করছে। তাদের ব্যাটসম্যানরাও এখানে খুব ভয়ংকর। আমরা সেটা জানি। আমরা জানি কাজটা সহজ হবে না।’
শক্তিমত্তায় দু দলই সমানে সমান। ম্যাচ টেম্পারমেন্ট যে দল ভালোভাবে সামলাবে তারাই এগিয়ে যাবে সিরিজে।
জয়নিউজ/জুলফিকার