গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের পর সবচেয়ে জমজমাট লড়াইটা হবে ভারত বাংলাদেশ ম্যাচে। পুনের ৪০ হাজারের বেশী দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মহারাষ্ট্র ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের আসনগুলোতে তৈরী হতে পারে আকাশী রঙের একটা অবয়ব কেননা স্টেডিয়ামের চারদিক জুড়ে হবে ভারত বন্দনা। মাঠের চারপাশে ভারতীয় সমর্থকরা কটাক্ষ করে ‘মওকা’ ‘মওকা’ সুরে কন্ঠ মিলাতেও মিলাতে পারেন।
এইতো গেলো মাঠের বাইরের অবস্থার কথা, এবার আসা যাক রোহিত কোহিলের ভিতরকার অবস্থায়। নিজেদের মাঠে ভারতীয়রা অপ্রতিরোধ্য তার প্রমাণ তো চোখের সামনে জলন্ত। খুব বেশী পরিসংখ্যানে না গিয়ে বিশ্বকাপের পয়েন্টস টেবিল দেখলেই যথেষ্ট।
অস্ট্রেলিয়া,আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান সবার সাথে আধিপত্য রেখেই জয় ছিনিয়ে এনেছে টিম ইন্ডিয়া। আহমাবাদে পাকিস্তানের এই শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে রীতিমতো গুড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
ভারতীয়দের মাঠ এবং মাঠের বাইরের শক্তি সামর্থ্যের বাইরে বাংলাদেশের শেষ ৪ ম্যাচের ৩ জয় খুব একটা চিন্তার হবে কিনা সেটি একটা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন হতে পারতো।
তবে বাংলাদেশের নিজেদের ভিতরকার যা অবস্থা তার প্রেক্ষিতে সে পরিসংখ্যান স্রেফ একটা চার্ট। ম্যাচের আগে ভারতীয়দের খুব একটা চিন্তা না থাকলেও বাংলার কপালে চিন্তার ভাঁজ অনেকটাই বেশী।
যুদ্ধের আগে সৈন্য শিবিরে বিকল্প সৈন্য না থাকলে যেমনটা হয়, বিশ্বকাপে বাংলার দলে নেই একজন বিকল্প ওপেনার। মেহেদী হাসান মিরাজ যদি লিটনের সাথে ওপেন করেন সেক্ষেত্রে একজন পিউর ব্যাটসম্যানের সংকট কিন্তু থেকে যায়। শেখ মাহেদী যদিও খেলেন অলরাউন্ডার হিসেবে তবে তার ব্যাটিং সামর্থ্য কিংবা বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
এদিকে প্রধান সেনাপতি যুদ্ধে অংশ নিবেন কিনা তা নিয়ে ও তৈরী হয়েছে যথেষ্ট সংশয়। বলা হচ্ছে সাকিব আল হাসানের কথা। বুধবার সন্ধ্যায় দলের হেড কোচ জানিয়েছেন সাকিব খেলবেন কিনা সেটি জানা যাবে ম্যাচের দিন সকালে।
আবার তিনি এমনটা বলেছেন পুরোপুরি ফিট না হলে সাকিবের খেলার সম্ভবনা অনেকটা অনিশ্চিত। এদিকে দুই ম্যাচ হেরে ভঙ্গুর সাকিবের মনোবল। কথিত আছে সাকিবের বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলে।
তবে সাকিবের কাছাকাছি মানের খেলোয়াড় কে? যিনি কিছুটাও ভরসার পাত্র হবেন? নাসুম আহমেদ যদি জায়গা পান সাকিবের বদৌলতে সেটি নিশ্চয়ই সাকিবের রিপ্লেসমেন্ট হবে না, যাতে একমত হবেন ক্রিকেট বোদ্ধারাও।
বিকল্প সংকটের নিদারুণ শঙ্কায় যেখানে বাংলা, সেখানে টিম ইন্ডিয়ার কাকে রেখে কাকে খেলানো যাবে এমন চিন্তা।
সাকিব আল হাসান খেলছেন কিনা সেটি অনিশ্চিত থাকলেও ভারতের বিপক্ষে তানজীদ তামিম দলে সুযোগ পাবেন না সেটি অনেকটা নিশ্চিত। তবে পুনের উইকেটে ৩০০’র বেশী রান হবে সেটিও অনেকটা নিশ্চিত।
বাংলাদেশ দলের বিকল্প সংকট কাটানোর একটি মাত্র উপায়, সেটি হচ্ছে যে যার অবস্থান থেকে জ্বলে উঠা। ভারতের বিপক্ষে অঘটন ঘটাতে হলে এর বিকল্প কিছু নেই।
জেএন/রাজীব