সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম নগরীতেও আগামীকাল শুক্রবার থেকে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
পূজামন্ডপে আগত পূজারী-দর্শনাথীদের সুষ্ঠুভাবে গমনাগমন ও নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচল নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সুষ্ঠ ট্রাফিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে নগরীর সড়ক ব্যবহারে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ।
তাছাড়া আগামী ২১ অক্টোবর শনিবার বিকেল ৪টা থেকে ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত নির্ধারিত স্থান ও রাস্তাসমূহে সকল ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করাসহ পুলিশী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন।
এর আগে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে অনুষ্ঠিত পৃথক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-দূর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে সিএমপি’র ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের আওতাধীন মহানগরীর মাঝিরঘাট থেকে চাকতাই-খাতুনগঞ্জগামী সড়কে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও সকল ধরণের ভারী যানবাহন (স্টিকারযুক্ত ও স্টিকারছাড়া) পূজা চলাকালীন প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
দুর্গাপূজা চলাকালীন নগরীর নতুন ব্রীজ থেকে মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে আগত ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সকল মালবাহী ভারী যানবাহন কাজী নজরুল ইসলাম রোড দিয়ে মাঝিরঘাট চলাচল অথবা ফিরিঙ্গীবাজার-কোতোয়ালী মোড়-নিউ মার্কেট-স্টেশন রোড-আটমার্সিং হয়ে কদমতলীর দিকে চলাচল করবে।
পূজার সময় নগরীর টেরিবাজার, বক্সিরহাট মোড়, হাজারীগলি ও আন্দরকিল্লা এলাকায় দুর্গাপূজা মন্ডপে আগত পূজারী-দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে যানবাহনের চাপ কমানোর লক্ষ্যে খাতুনগঞ্জ ও আছাদগঞ্জমুখী সকল মালবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান টেরিবাজার দিয়ে প্রবেশ না করে হযরত আমানত শাহ মাজারের সামনে দিয়ে আনসার ক্লাব হয়ে অথবা মেরিন ড্রাইভ রোড হয়ে চাকতাই ও রাজাখালী দিয়ে খাতুনগঞ্জে প্রবেশ করতে পারবে।
মালামাল লোড-আনলোড শেষে সকল ধরণের ভারী যানবাহন চাকতাই-মেরিন ড্রাইভ হয়ে বের হবে। তবে কোন অবস্থাতেই টেরিবাজার ও আমানত শাহ মাজারের সামনে দিয়ে আসতে পারবে না।
পূজার সময় মাঝিরঘাট থেকে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, নতুন ব্রীজগামী ট্রাক-কাভার্ডভ্যানগুলো সদরঘাটস্থ থানার সামনের রোড দিয়ে না গিয়ে শুভপুর-কদমতলী-স্টেশন রোড, নিউ মার্কেট ও কোতোয়ালী মোড় হয়ে লালদীঘির পাড়, আমানত শাহ মাজারের সামনে দিয়ে আনসার ক্লাব হয়ে অথবা কোতোয়ালীর মোড়-ফিরিঙ্গীবাজার-মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে চলাচল করবে।
পূজা চলাকালীন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সকল মালবাহী ভারী যানবাহন কদমতলী থেকে নেওয়াজ হোটেলের সামনে দিয়ে আইস ফ্যাক্টরী রোডে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
দুর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে চাকতাইমুখী সকল ধরণের ভারী যানবাহন রাজাখালী ও চাকতাই রোড দিয়ে প্রবেশ করবে এবং বের হওয়ার সময় চাকতাই হয়ে মেরিন ড্রাইভ রোড ব্যবহার করবে।
দুর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে নগরীর টেরিবাজার গ্যাপে রোড ব্লক স্থাপন করা হবে। এছাড়া জেএমসেন হলে দুর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে কে.বি আবদুস ছাত্তার রোডের মুখে ও গুডস্ হিল (গণি বেকারী) প্রবেশ মুখে রোড ব্লক স্থাপন করা হবে।
তবে রহমতগঞ্জের স্থায়ী বসবাসরত লোকজনের জন্য নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা হবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে নগরীর ফিরিঙ্গীবাজার, কাজী নজরুল ইসলাম রোড ও মেরিন ড্রাইভ রোডে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
আসন্ন শারদীয়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের স্বার্থে উল্লেখিত নির্দেশনাসমূহ সকল প্রকার পরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মেনে চলার জন্য সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
শারদীয় দূর্গোৎসব সুষ্ঠ, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্তে ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছে।
জেএন/রাজীব